IPL 2024 Winner

২৫ কোটি নিয়ে সতীর্থেরাই মজা করে! আইপিএল ফাইনালে সেরা স্টার্কের গলায় ‘আক্ষেপ’

আইপিএল ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন মিচেল স্টার্ক। পুরস্কার নিতে গিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্সের পেসারের গলায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ০৯:১৫
Share:

ম্যাচের সেরা হয়ে ট্রফি হাতে মিচেল স্টার্ক। ছবি: আইপিএল।

প্লে-অফ ও ফাইনালে দাপট দেখিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। দু’টি ম্যাচেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন তিনি। আইপিএল ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন স্টার্ক। পুরস্কার নিতে গিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্সের পেসারের গলায়।

Advertisement

স্টার্ক জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন আইপিএল খেলেননি তিনি। এ বার খেলছেন। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হওয়ায় সতীর্থেরাই তাঁর সঙ্গে মজা করেন। স্টার্ক বলেন, “অনেক বছর হয়ে গেল আইপিএল খেলিনি। এ বার কেকেআর আমার উপর ভরসা দেখিয়েছে। আমার দাম নিয়ে দলে সবাই মজা করে।” অনেক বছর আইপিএলে দল না পাওয়ায় যে তাঁর খারাপ লেগেছিল তা বোঝা গিয়েছে স্টার্কের কথায়।

প্রতিযোগিতার শুরুতে ভাল বল করতে পারছিলেন না স্টার্ক। রান দিচ্ছিলেন। উইকেট পাচ্ছিলেন না। কিন্তু প্রতিযোগিতার শেষ দিকে ফর্ম ফিরে পেয়েছেন তিনি। তার কৃতিত্ব সাপোর্ট স্টাফদের দিয়েছেন অস্ট্রেলীয় পেসার। তিনি বলেন, “সাপোর্ট স্টাফেরা সব সময় পাশে ছিল। আমাদের পিছনে অনেক সময় দিয়েছে। ওদের সাহায্য না পেলে শেষ দিকে এ ভাবে বল করতে পারতাম না।”

Advertisement

দলের বোলিং আক্রমণ নিয়ে গর্ব করছেন স্টার্ক। দলগত খেলেই জিতেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। স্টার্ক বলেন, “আমাদের দলের প্রত্যেক বোলার খুব ভাল খেলেছে। পেসারেরা নিজের কাজ করেছে। মাঝের ওভারে স্পিনারেরা উইকেট নিয়েছে। কোনও এক জনের উপর নির্ভর করতে হয়নি। যে সুযোগ পেয়েছে সে নজর কেড়েছে।”

ফাইনালে টস হারায় প্রথমে বল করতে হয় কেকেআরকে। দ্রুত পিচ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্টার্ক। তিনি বলেন,“টস হারায় বল করতে হচ্ছিল। প্রথম কয়েকটা বলের পরেই বুঝে গিয়েছিলাম এই পিচে কী ভাবে বল করতে হবে। আমরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলাম। সেটাই করে দেখিয়েছি। শ্রেয়সকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। যে ভাবে বোলারদের ও ব্যবহার করেছে তা এক কথায় অসাধারণ।”

তাঁর অভিজ্ঞতা যে তাঁকে সাহায্য করেছে সে কথাও জানিয়েছেন স্টার্ক। কেকেআরের পেসার বলেন, “অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছি। কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখন ফাইনালের চাপ নিতে পারি। জানতাম শুরুতেই ওদের ধাক্কা দিতে হবে। সেটা করতে পেরেছি। পরে ব্যাটারেরা নিজেদের কাজ করেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement