শেষ ওভার নিজে এসে চেয়ে নেন জনসন

নাইটদের বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীর সেই জয় থেকেই ফাইনালে পুণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা পান রোহিত শর্মারা। রবিবার রাতে উপ্পলে মুম্বইকে এক রানে হারিয়ে আইপিএল দশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই কথাই জানান রোহিত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ০৩:৩১
Share:

নায়ক: জিতে দৌড় জনসনের। সঙ্গে পার্থিব।ছবি: বিসিসিআই

নাইটদের বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীর সেই জয় থেকেই ফাইনালে পুণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা পান রোহিত শর্মারা। রবিবার রাতে উপ্পলে মুম্বইকে এক রানে হারিয়ে আইপিএল দশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই কথাই জানান রোহিত। তিনি বলেন, ‘‘১২৯ তোলার পর ড্রেসিং রুমে ছেলেদের বলি, সে দিন কেকেআরের বিরুদ্ধে যে ভাবে আমরা বোলিং করেছিলাম, আজ সে ভাবেই বোলিং করে জিততে হবে আমাদের।’’

Advertisement

তবে শেষ ওভারটা যে তিনিই করতে যেতে চান, তা বলেছিলেন জনসন নিজেই। নিজেই সে কথা জানিয়ে ম্যাচের পর বলেন, ‘‘আমিই বলেছিলাম শেষ ওভারটা করব। আত্মবিশ্বাস ছিল। তবে ভাগ্য ভাল যে, শেষ পর্যন্ত আমি পেরেছি। আমরা সবাই আজ ভাল বোলিং করেছি।’’

তবে তিনি যে নার্ভাস ছিলেন, তা স্বীকারই করে নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন। ট্রফি হাতে তোলার ঠিক আগের মুহূর্তে বলেন, ‘‘সত্যি বলছি, খুব নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু ছেলেরা সব কাটিয়ে ম্যাচটা বার করে নিল। কত রান সেটা ওদের মাথায় রাখতে বারণ করেছিলাম। তবু ১৩০ রান নিয়ে জেতাটা বিশাল ব্যাপার। দলে বুমরা আর মালিঙ্গার মতো বোলার থাকতে জিতব না, তাই হয়?’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মাহেলার ভাষণকেই কৃতিত্ব মুগ্ধ সচিনের

যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্যাপ্টেন, সেই যশপ্রীত বুমরা বলেন, ‘‘শুরু থেকেই তো আট বল পিছিয়ে ছিলাম আমরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা লড়াই করলাম, তাতে গর্ব হচ্ছে। শেষ দিকে রিভার্স সুইংটা পাচ্ছিলাম। মাহি ভাইয়ের উইকেটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার কাছে। ওটা পাওয়ার পরই খেলা ঘুরতে শুরু করে। আমি যে শেষের আগের ওভারটা করব, তখনই ঠিক হয়ে যায়। সেই মতো মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলি। এটা তো আর প্রথম না। এর আগেও এই পরিস্থিতিতে বল করেছি আমি।’’

ছয় বলের নাটক

শেষ ওভারে ৬ বলে জিততে গেলে পুণের চাই ১১ রান।


প্রথম বল: মিচেল জনসনের অফকাটার অফস্টাম্পের বাইরে থেকে মনোজ তিওয়ারি তুলে দিলেন স্কোয়ার লেগের দিকে। ৪ রান পেলেন। ৫ বলে চাই ৭।
দ্বিতীয় বল: জনসনের অফকাটার এক্সট্রা কভারে ওড়াতে গিয়ে মিসটাইম মনোজের। পোলার্ডের হাতে ক্যাচ।
তৃতীয় বল: জনসনের অফস্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি। সুইপার কভারে স্মিথের জোরালো শট। কঠিন ক্যাচ ধরলেন রায়ডু। ৩ বলে চাই ৭।
চতুর্থ বল: ওয়াশিংটন সুন্দরকে অফস্টাম্পের বাইরে ইয়র্কার জনসনের। রান আউটের সুযোগ ফস্কালেন পার্থিব পটেল। বাই ১ রান। চাই ২ বলে ৬।
পঞ্চম বল: জনসনের ওভারপিচ্‌ড বল মিডউইকেটে তুলে মারতে গেলেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। ডাইভ দিয়েও কঠিন ক্যাচ ফস্কালেন হার্দিক পাণ্ড্য। ২ রান হল। শেষ বলে চাই ৪।
শেষ বল: জনসনের প্রায় ইয়র্কার লেংথের বলে ড্যান ক্রিশ্চিয়ান ডিপ স্কোয়ার আর ডিপ মিড উইকেটের মাঝামাঝি দিয়ে মারতে গেলেন। দুই রান হল। ফিল্ডার সুচিথ দ্রুত বল ধরতে গিয়ে ফস্কালেন। তৃতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট ক্রিশ্চিয়ান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ জিতল ১ রানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement