পুণের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন ধোনি ও মনোজ। ছবি: এএফপি।
পুণে ১৬২/৪ (২০ ওভার)
মুম্বই ১৪২/৯ (২০ ওভার)
মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে রোহিত ব্রিগেডকে ২০ রানে হারিয়ে দশম আইপিএলের ফাইনালে পৌছে গেল রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট। এ নিয়ে চলতি আইপিএলে তিন বার পুণের বিরুদ্ধে খেলে তিন বারই হারের মুখ দেখতে হল মুম্বইকে।
তবে, এখানেই মুম্বইয়ের লিগ অভিযান শেষ হচ্ছে না। ফাইনালে যাওয়ার আরও একটি সুযোগ পাবে নীতা অম্বানির দল।
বিদেশি তারকারা ফিরে গিয়েছেন দেশে। তাঁদের বাদ দিয়েও মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল পুণে সুপারজায়ান্ট। টস জিতে ঘরের মাঠে পুণেকেই প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মুম্বই। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানের ইনিংস খেলে পুণে। ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে ৫৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। যেখানে পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। আর এক ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠী অবশ্য কোনও রান না করেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। রাহুলের সঙ্গেই দলকে ধাক্কা দিয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ। রাহুলের জাগায় নেমে মাত্র এক রান করেই ফেরেন দলের অধিনায়ক।
এর পর পুণের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মনোজ তিওয়ারি। রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৪৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই ইনিংস সাজানো ছিল চারটি বাউন্ডারি ও দু’টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। এই রাহানে ও মনোজের সঙ্গে পুণে ব্যাটিংকে ভরসা দেন এমএস ধোনি। ২৬ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন ভারতের এই সফলতম অধিনায়ক। নিজের চেনা ঢঙে পাঁচটি ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি।
আরও খবর: ছিটকে গেলেন নেহরা, ফিটনেস টেস্ট যুবরাজের
মুম্বই বোলিং এ দিন খুবই সাদামাটা ছিল। একটি করে উইকেট নেন ম্যাকক্লেনাঘান, মালিঙ্গা ও কর্ণ শর্মা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একইভাবে শুরুতেই আউট হয়ে যান ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। ১৩ বল খেলে মাত্র পাঁচ রান করেন তিনি। পুণে অধিনায়ক স্মিথের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ১রানে আউট হন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। কোনও রান না করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন অম্বাতি রায়াডু।
এর পর তাসের ঘরের মত ধসে পরে মুম্বই ব্যাটিং লাইনআপ। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে নীতা অম্বানির দল। গত ম্যাচের নায়ক পোলার্ডও ফেরেন মাত্র ৭ রানে। এর পর পাণ্ড্য ভাইয়েরা কিছুটা চেষ্টা চালালেও তা যথেষ্ট ছিল না পুণের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে আনার জন্য। আউট হওয়ার আগে স্কোরশিটে মাত্র ১৪ রান যোগ করেন হার্দিক পাণ্ড্য। পর পরই ব্যক্তিগত ১৫ রানে ডাগআউটে ফেরেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। পরে বুমরাহ(১৬),ম্যাকলেনেঘান(১২) চেষ্টা চালালেও তা ছিল শুধুই মানরক্ষার।
নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪২ রান তোলে মুম্বই। পুণের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও শার্দূল ঠাকুর। একটি করে উইকেট পান জয়দেব উনাদকট ও লকি ফার্গুসন।
এ দিন ম্যাচের সেরা হন পুণের ওয়াশিংটন সুন্দর।