জিতে মাঠ ছাড়লেন নাইটরা।
কলকাতা ১৩১/১০ (১৯.৩ ওভার)
বেঙ্গালুরু ৪৯/১০ (৯.৪ ওভার)
কলকাতার রুদ্ধশ্বাস বোলিং-এর দাপটে মাত্র ৪৯ রানে গুটিয়ে গেল কোহালি ব্রিগেড। মাত্র ১৩১ রানের পুঁজি নিয়েও নাইটরা জিতল ৮২ রানে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগে দুই নম্বরেই থাকল গোতিবাহিনী।
শুরু কিন্তু গৌতম গম্ভীররা করলেন কলকাতার কালবৈশাখীর মতই। শেষটাও রীতিমতো ঝড়ের বেগে। আর সেই ঝড়ের বেগেই মাত্র সাড়ে নয় ওভারে উড়ে গেল বেঙ্গালুরুর সব উইকেট। আইপিএল-এর ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরের মালিক এখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কোনও ব্যাটসম্যানই ১০-এর গণ্ডি পেরোতেই পারলনা রয়্যালদের।
বিকেল থেকেই কলকাতায় আকাশের মুখ ভার। সন্ধ্যে থেকেই শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ে ৭.৩০ থেকে। যে কারণে নির্ধারিত সময় রাত আটটা থেকে ম্যাচ শুরু করা যায়নি। পুরো মাঠ ঢেকে ফেলা হল বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে। আটটা নাগাদ বৃষ্টি থামলে মাঠ পরিদর্শনের পর ৮.৩০ থেকে ম্যাচ শুরু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পরেই শুরু হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও খবর: আমলার ব্যাটে গুজরাতকে হারিয়ে জয় পঞ্জাবের
রীতিমতো ঝড়ের বেগে ব্যাটিং শুরু করেছিল কলকাতা। শুরুর ঝড়ের ফল, এই আইপিএল-এ এখনও পর্যন্ত দ্রুততম ৫০ রানটি করে ফেলল কলকাতা। প্রথম ওভারেই নারিনের ব্যাট থেকে এল তিনটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। গৌতম গম্ভীর আউট হলেন ১৪ রানে। এর সুনীল নারিনের সঙ্গে নাইটদের হাল ধরলেন রবিন উথাপ্পা। ইডেনে কখনও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে হারেনি কলকাতা। যদিও টস হেরে এ বারও প্রথমেই ব্যাট জুটল গম্ভীরদের ভাগ্যে। আগের ম্যাচে হারতে হয়েছে। এই ম্যাচ ঘুরে দাঁড়ানোর। তাও আবার বিরাট কোহালিদের বিরুদ্ধে।
বিরাট কোহালির আউটের আবেদল।
বেঙ্গালুরুর জন্য অবশ্য ভাল খবর, চোট সারিয়ে ফিরেছেন এবি ডে ভিলিয়ার্স ও স্যামুয়েল বদ্রী। ত্রাভিও হেড ও শেন ওয়াটসনের জায়গায় দলে এসেছেন দু’জন। কিন্তু যে ভাবে শুরুটা করেছিল কলকাতা সে ভাবে শেষ করতে পারল না। নারিনের ঝোড়ো ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৩৪ রানে। ১৭ বলে তাঁর এই ৩৪ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও১টি ওভার বাউন্ডারিতে। নারিন পরবর্তি সময়ে আর কেউই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। গম্ভীর (১৪), উথাপ্পা (১১), মনীশ পাণ্ড্য (১৫), ইউসুফ পাঠান (৮), সূর্যকুমার যাদব (১৫), গ্র্যান্ডহোম (০), ওকস (১৮), কোল্টার-নাইল (২)রা কেউই ২০ রানের গন্ডি পেরতে পারেননি। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই গুটিয়ে যায় কেকেআর-এর ইনিংস। ১৩১ রানে শেষ কলকাতা।
বেঙ্গালুরুর হয়ে টিনটি উইকেট নেন য়ুজবেন্দ্র চাহাল। দু’টি করে উইকেট মিলস ও নেগির। একটি করে উইকেট নেন বদ্রী ও স্টুয়ার্ট বিনি।