উমেশ যাদব। ছবি: আইপিএল
প্রতি বারের মতো এ বারের আইপিএল থেকেও একাধিক নতুন তারকা উঠে আসছেন। অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটার আবার এই প্রতিযোগিতাকে বেছে নিয়েছেন ফিরে আসার মঞ্চ হিসেবে। দীনেশ কার্তিক, কুলদীপ যাদবদের মতোই এই তালিকায় আছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের উমেশ যাদব।
আইপিএলে উমেশের বোলিং দেখে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই বলছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়া উচিত উমেশের। কেকেআরের জোরে বোলার এখনই এত কিছু ভাবতে রাজি নন। আপাতত আইপিএলে কেকেআরের হয়ে সেরাটা উজাড় করে দিতে চান। বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে উমেশ বলেন, ‘‘বিশ্বকাপের দলে থাকাটা নির্ভর করবে দল পরিচালন কমিটি এবং নির্বাচকদের উপর।’’
উমেশ ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চান। আইপিএলের বেগুনি টুপিই এখন তাঁর পাখির চোখ। নতুন রূপে বোলার উমেশের ফিরে আসার রহস্য কী? উমেশ বলেন, ‘‘আমি সব সময় সাধারণ ভাবে ভাবতে পছন্দ করি। বিশেষ কিছুই করিনি। নিজের দুর্বল জায়গাগুলো নিয়ে পরিশ্রম করেছি। পাশাপাশি নিজের শক্তির জায়গাগুলোকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি।’’ ৩৪ বছরের জোরে বোলার আরও বলেছেন, ‘‘আইপিএলে সব সময়ই সুযোগ থাকে। যে কোনও দিন যে কেউ ভাল পারফরম্যান্স করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফোকাস ঠিক রাখা এবং আত্মবিশ্বাসী থাকা।’’
কেকেআরে অধিনায়ক হিসেবে শ্রেয়স আয়ারকে পেয়ে খুশি উমেশ। তিনি বলেন, ‘‘দলের আমার ভূমিকা কী, সেটা দারুণ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রেয়স আমার খেলা জানে। আমার উপর ভরসা রেখেছে। আমাকে হালকা রেখেছে। আমাকে শ্রেয়স বলেছে, ‘নিজের শক্তি অনুযায়ী বোলিং কর। ফলাফল নিয়ে ভাবতে হবে না।’ এখনও পর্যন্ত শ্রেয়সই আমার দেখা সেরা অধিনায়ক।’’
নাইট শিবিরে বোলিং কোচ হিসেবে ভরত অরুণকে পাওয়ায় খুশি উমেশ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেকটা পথ এক সঙ্গে চলেছি। ২০০৯ সাল থেকে উনি আমাকে জানেন। তখন উনি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বোলিং কোচ ছিলেন। তাই আমাদের মধ্যে যোগাযোগ খুব সহজ। আমার সীমাবদ্ধতাগুলো উনি ভাল জানেন। তাই পরিকল্পনা করতেও বেশ সুবিধা হয়।’’
উল্লেখ্য, উমেশ ভারতের টেস্ট দলে থাকলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটের পরিকল্পনায় নেই দীর্ঘ দিন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ বার ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আইপিএলের নিলামের প্রথম দিন তাঁকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি। দ্বিতীয় দিনে কলকাতা নাইট রাইডার্স কেনে দেশের অন্যতম সেরা জোরে বোলারকে। কেকেআর তাঁকে নিয়ে যে ভুল করেনি, তা প্রতি ম্যাচেই প্রমাণ করছেন উমেশ।