হার্দিকের শুভেচ্ছা নলকান্ডেকে। ছবি আইপিএল
শুক্রবারই আইপিএলে অভিষেক হল তাঁর। আবির্ভাবেই চমকে দিলেন গুজরাত টাইটান্সের দর্শন নলকান্ডে। নিজের তৃতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে পর পর দু’বলে দু’টি উইকেট তুলে নিলেন তিনি। অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক হল না। কিন্তু তরুণ এই জোরে বোলারের প্রতিভা নজর কেড়ে নিয়েছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের।
শুক্রবার হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নলকান্ডের ডাবল হ্যাটট্রিকের নজির রয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে লাসিথ মালিঙ্গার মতোই পর পর চার বলে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। এই কৃতিত্ব কেবল রয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অভিমন্যু মিঠুনের।
মহারাষ্ট্রে জন্ম হলেও নলকান্ডে খেলেন বিদর্ভের হয়েই। ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তাঁর। বিদর্ভের হয়ে খেলতে নামেন হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে। সেখানেও তাঁর বোলিং নজর কেড়ে নেয়। রাজ্য দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। নিয়েছেন ৪৩টি উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় অবশ্যই। পাশাপাশি, রান খরচ করার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট কৃপণ নলকান্ডে। যদি আইপিএলের অভিষেকে ওভার প্রতি ১২ রানেরও বেশি খেয়েছেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছেন নলকান্ডে। লিস্ট এ ক্রিকেটে খেলেছেন ১৭টি ম্যাচ। এ বার তাঁকে ২০ লাখ টাকায় কিনেছে গুজরাত। কিন্তু আইপিএলে তাঁর আবির্ভাব এ বারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালের নিলামে তাঁকে ৩০ লাখ টাকায় কিনেছিল পঞ্জাব। কিন্তু তিন বছর দলে থাকলেও একটিও ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। এ বারের নিলামে তাঁকে ২০ লাখ টাকায় কেনে গুজরাত। ঘটনাচক্রে সেই পঞ্জাবের বিরুদ্ধেই অভিষেক হল তাঁর। তাদের বিরুদ্ধেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে নলকান্ডে যেন জবাবই দিলেন।
পঞ্জাবের ইনিংস শেষের পর দর্শন সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলেন, “প্রথমে একটু চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ম্যাচের আগে হার্দিক ভাই এবং (আশিস) নেহরা স্যর আমাকে অনুপ্রেরণা জোগান। ওদের কথা শুনেই অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামতে পেরেছিলাম। অনেক যাত্রা পেরিয়ে এসেছি। অনেক আত্মত্যাগ করেছি। আশা করি সুযোগ এ বার কাজে লাগাতে পারব।”