তেড়ে আসছেন উমরান মালিক। দেড়শ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় তাঁর বল এসে লাগছে ব্যাটারের কাঁধে। উমরানের গতি নজর কাড়ছে সুনীল গাওস্করের মতো অভিজ্ঞদের। বুধবার চার ওভার বল করে পাঁচ উইকেট নেন উমরান। কত গতি ছিল বলগুলির?
চার ওভারের মধ্যে প্রথম ওভারটি উমরান করেন ইনিংসের অষ্টম ওভারে। ৭.২ ওভারে শুভমন গিলকে ফেরান উমরান। ভারতের তরুণ ওপেনারের স্টাম্প উড়িয়ে দেন তিনি।
উমরানের গতি কাজে লাগিয়ে কভারের দিকে মারতে গিয়েছিলেন শুভমন। ১৪৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার সেই বল লেংথে ছিল। সেই বলটাই উড়িয়ে দেয় শুভমনের স্টাম্প।
পরের ওভারে বল করতে এসে উমরান নেন হার্দিক পাণ্ড্যর উইকেট। গুজরাতের অধিনায়ক ব্যাট করতে নামতেই উমরানের বাউন্সার আছড়ে পড়ে হার্দিকের কাঁধে। সেই বলকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে এক বার কাঁধটা ঝাঁকিয়ে নিয়ে ব্যাট করতে জায়গা নেন হার্দিক।
কিন্তু উমরানের বলেই আউট হন হার্দিক। তাঁকে গতিতে নয়, বাউন্সারে পরাস্ত করেন উমরান। হার্দিকের ব্যাট একটু দেরিতে পৌঁছয়। ক্যাচ উঠে যায় থার্ড ম্যানের দিকে। দ্বিতীয় উইকেট উমরানের।
পরের উইকেট আসে উমরানের তৃতীয় ওভারে। এ বার স্টাম্প ছিটকে যায় ঋদ্ধিমান সাহার। যে ব্যাটারের উপর ভর করে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল গুজরাত, তাঁকেই ফিরিয়ে দেন উমরান। ১৫২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার সেই বল উড়িয়ে দেয় ঋদ্ধির স্টাম্প।
ডেভিড মিলারকে যে বলটায় ফেরান উমরান, সেই বলের গতি ছিল ১৪৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মিডল স্টাম্প উড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারের।
উমরানকে তৈরি করার পিছনেও হাত রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এক বোলারের। ডেল স্টেনের প্রশিক্ষণেই তৈরি হচ্ছেন উমরান। বুধবার উইকেট নেওয়ার পর তাঁর উচ্ছ্বাসের ভঙ্গির মধ্যেও ছিল স্টেনের ছায়া। যদিও স্টেন মনে করেন উমরান নিজের মতো খেলুক, তাঁকে স্টেনের মতো গড়ে তুলতে চান না তিনি।
পরের বলেই ফিরিয়ে দেন অভিনব মনোহরকে। সেই বলের গতি ছিল ১৪৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ব্যাট নামার আগেই ছিটকে যায় অভিনবের স্টাম্প। উমরান দু’হাত তুলে দৌড়তে থাকেন। আইপিএলে প্রথম বার পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি।
পরের ম্যাচের প্রথম বলটিতে উইকেট নিলে হ্যাটট্রিক হবে উমরানের। কাশ্মীরের পেসার পাঁচ উইকেট নিলেও ম্যাচ জিততে পারেনি হায়দরাবাদ। উমরান ছাড়া হায়দরাবাদের আর কোনও বোলার উইকেটই পাননি।