বলা হয়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বোলারদের পক্ষে সব থেকে কঠিন। এই ফরম্যাট নাকি তৈরিই হয়েছে ব্যাটারদের জন্য। কারণ গোটা খেলায় তাঁরাই রাজা।
কিন্তু এটাও ঠিক, বোলাররা একার হাতেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কয়েকটি ডট বল বা কয়েকটি উইকেট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
এ বারের আইপিএলও তার ব্যতিক্রম নয়। ৩২টি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বেশ কিছু দর্শনীয় বোলিং পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে এর মধ্যেই। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বোলারের দল জিতেছে।
বোলারদের কাছে কলকাতা নাইট রাইডার্স যেন সব থেকে লোভনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেরা পাঁচটি বোলিং পারফরম্যান্সের তিনটিই হয়েছে কলকাতার বিরুদ্ধে।
বোলিং পারফরম্যান্সের দিক থেকে সবার আগে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর যেন অন্য রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচেই জ্বলে উঠছেন।
সম্প্রতি কলকাতার বিরুদ্ধে একার হাতেই দলকে ম্যাচ জেতান। ৪০ রানে পাঁচ উইকেট নেন। এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত এটিই একমাত্র পাঁচ উইকেট শিকার। মোট উইকেটশিকারের দিক থেকেও সবার উপরে চহাল।
শ্রীলঙ্কার বিস্ময় স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গকে এ বার ১০ কোটি টাকা খরচ করে কিনেছে বেঙ্গালুরু। প্রতি ম্যাচেই আস্থার দাম দিয়ে চলেছেন হাসরঙ্গ। বেশিরভাগ ব্যাটার তাঁর বল বুঝতেই পারছেন না।
কলকাতার বিরুদ্ধে ২০ রানে চার উইকেট নেন তিনি। দলকেও জেতান। কম রানের সেই ম্যাচে হাসরঙ্গের বোলিংয়ের জবাব খুঁজে পাননি শ্রেয়স আয়াররা। এখনও পর্যন্ত সাত ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
পুরনো ঘোড়া উমেশ যাদবের উপর ভরসা রেখে তাঁকে এ বার কিনেছে কলকাতা। নিয়মিত ভাবে প্রতিটি ম্যাচেই উইকেট নিচ্ছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২৩ রানে চার উইকেট নেন তিনি। দলকেও জেতান। গতি তাঁর রয়েছেই। এ ছাড়া এ বার তাঁর অসামান্য বোলিংয়ে লাইন এবং লেংথও দেখা গিয়েছে।
দল বদলে এ বার দিল্লি থেকে লখনউয়ে গিয়েছেন আবেশ খান। তরুণ এই পেসার বলের বৈচিত্রে মুগ্ধ করেছেন দলকে। গত বার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন তিনি। এ বারও সে দিকেই এগিয়ে চলেছেন।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৪ রানে চার উইকেট নেন। সাত ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ১১টি উইকেট নিয়েছেন। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে সেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি।
এর পরেই রয়েছেন কুলদীপ যাদব। তিনি প্রাক্তন দল কলকাতার বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠেন। এ বারের নিলামে কলকাতা তাঁকে রাখেনি। কিনেছে দিল্লি। প্রথম সুযোগেই পুরনো দলের বিরুদ্ধে বদলা নিলেন তিনি।
কলকাতার বিরুদ্ধে ৩৫ রানে চার উইকেট নেন তিনি। এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়েছেন।