উইকেট নেওয়ার পর রাজস্থানের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইপিএল
কথায় বলে সকালটাই বুঝিয়ে দেয় দিনটা কেমন যাবে। মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচের শুরুটাই যেন বুঝিয়ে দিয়েছিলে দিনটা গোলাপি জার্সিধারীদের। প্রথমে ব্যাট করে ২১০ রান তোলে রাজস্থান। জবাবে হায়দরাবাদ শেষ ১৪৯ রানে।
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কেন উইলিয়ামসন। শেষ চারটি ম্যাচে যে দল টস জিতেছে, প্রথম বল করে তারাই ম্যাচ জিতেছে। এ দিনও তেমনটাই হওয়ার সম্ভাবনা দেখছিলেন অনেকে। কিন্তু ম্যাচের শুরুতে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ক্যাচ দিলেন জস বাটলার। আব্দুল সামাদের হাতে বল জমা পড়ল। আম্পায়ার জানালেন নো বল। দিনের শুরুটাই ভাল হল না হায়দরাবাদের। এর পর বাটলারের ক্যাচ ফস্কালেন আব্দুল সামাদ। যদিও সেই উমরান মালিকের সেই বলটাও নো বল ছিল। ২৮ বলে ৩৫ রান করে গেলেন বাটলার। তিনটি ছয় এবং তিনটি চার মেরে রাজস্থানের ইনিংসের ভীতটা গড়ে দিলেন তিনি।
সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রানের প্রাসাদ গড়লেন ২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে থাকা সঞ্জু স্যামসন (কোনও ম্যাচ খেলেননি)। ২৭ বলে ৫৫ রান করেন প্রাক্তন নাইট। ২৯ বলে ৪১ রান করেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। মঙ্গলবার চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন গত বার আরসিবি-তে খেলে নজর কাড়া এই ওপেনার। আর শেষ বেলায় শিমরন হেটমেয়ার বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন কেন তাঁকে বিধ্বংসী ব্যাটার বলা হয়। মাত্র ১৩টি বল খেলে করলেন ৩২ রান। দলকে ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে বড় ভূমিকা নিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।
ব্যাট হাতে বিপুল রান তোলার পর, বল হাতেও বিপক্ষের ঘুম ছুটিয়ে দিল রাজস্থান। সেখানেও বড় ভূমিকা নিলেন এক প্রাক্তন নাইট। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। গত বছর কলকাতার হয়ে খেলে ভারতীয় দলের দরজা খুলে ফেলেন এই পেসার। তাঁকে কেন ১০ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে রাজস্থান সেটা বুঝিয়ে দিলেন প্রথম ম্যাচেই। পর পর দু’টি ওভারে কেন উইলিয়ামসন এবং রাহুল ত্রিপাঠিকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ট্রেন্ট বোল্ট তুলে নেন নিকোলাস পুরানের উইকেট। হায়দরাবাদ ব্যাটিংয়ের ভিত নড়ে যায় ওখানেই। সামনে বিরাট রানের লক্ষ্য আর ডাগ আউটে ফিরে যাওয়া উইলিয়ামসনকে দেখে বাকি ব্যাটারদের ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাসটাই হারিয়ে গেল।
ওয়াশিংটন সুন্দর ১৪ বলে ৪০ রান তুলে একটা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁকেও ফিরিয়ে দেন বোল্ট। অবশ্য সেই চেষ্টার সময় হায়দরাবাদের ম্যাচ হারা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। হায়দরাবাদের মিডল অর্ডারকে নাড়িয়ে দেন যুজবেন্দ্র চহাল। তিন উইকেট নিয়ে যান তিনি। দু’টি করে উইকেট নেন বোল্ট এবং প্রসিদ্ধ।