জয়ের পর আনন্দে মাতলেন চহালরা। ছবি: আইপিএল
রয়্যাস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ২৯ রানে হারিয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস। টস জিতে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় সঞ্জু স্যামসনদের। রাজস্থান করে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। কিন্তু বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ হয়ে গেল মাত্র ১১৫ রানেই।
প্রথমে ব্যাট পেয়েও সুবিধা করতে পারল না রাজস্থান। মাত্র ১৪৪ রান করে তারা। রিয়ান পরাগের ৩১ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো খেলতে পারলেন না রাজস্থানের কোনও ব্যাটারই। রিয়ানের ইনিংসটি সাজানো ৩টি চার এবং ৪টি দিয়ে। অধিনায়ক সঞ্জু কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও বিশেষ কিছু করতে পারলেন না। তিনি ৩টি ছয় ১টি চারের সাহায্যে করলেন ২১ বলে ২৭ রান। তেমন কাজে লাগল না রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ব্যাটিং অর্ডারের উপরে তুলে আনার পরিকল্পনাও। অভিজ্ঞ অফ স্পিনার ৪টি চারের সাহায্যে করলেন নয় বলে ১৭ রান।
বেঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সফলতম জস হ্যাজেলউড। ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। একটি ওভার মেডেনও নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার। এ ছাড়া মহম্মদ সিরাজ ৩০ রান ২টি এবং ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে জয়ের জন্য ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন রাজস্থানের বোলিং আক্রমণের সামনে। বিরাট কোহলী ওপেন করতে নেমেও সফল হলেন না। ১০ বলে ৯ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে রিয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। অপর ওপেনার অধিনায়ক ডুপ্লেসি করলেন ২১ বলে ২৩ রান। ৩টি চার এবং ১টি ছয় মারলেন প্রোটিয়া ব্যাটার। এ ছাড়া রজত পতিদার ১৬ বল ১৬ রান করেন। বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদও এ দিন সফল হলেন না ব্যাট হাতে। ২৭ বল খেলে তাঁর অবদান মাত্র ১৭ রান। শেষ দিকে হাসরঙ্গ চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। তিনি করলেন ১৩ বলে ১৮ রান।
অশ্বিন চার ওভার বল করে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ সেন। তিনিই রাজস্থানের সফলতম বোলার। ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর। উইকেট না পেলেও ভাল বল করলেন যুজবেন্দ্র চহালও।