দলকে জিতিয়ে উচ্ছ্বাস রাহুল তেওয়াটিয়ার। ছবি: আইপিএল
জেতার জন্য শেষ দু’বলে দরকার ছিল ১২ রান। ওডিন স্মিথকে পর পর দু’টো ছয় মেরে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্সকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছেন রাহুল তেওয়াটিয়া। মাত্র তিন বলের অপরাজিত ১৩ রানের ইনিংস তাঁকে এনে দিয়েছে আলোচনার কেন্দ্রে।
চাপের মুখে ২৮ বছরের বাঁ হাতি অলরাউন্ডারের কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন না হলেও খুব বেশি এমন উদাহরণ নেই। রাহুল ভাগ বসালেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কৃতিত্বে। রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের হয়ে ধোনি কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে শেষ দু’বলে ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। বোলার ছিলেন অক্ষর পটেল। সে বারও জয়ের জন্য শেষ দু’বলে ১২ রানই দরকার ছিল।
রাহুল শুক্রবারের ইনিংস সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘ম্যাচ জিতলে সব সময়ই ভাল অনুভূতি হয়। বেশি ভাবার জায়গা ছিল না। শেষ দু’বলে আমাদের সামনে ছয় মারা ছাড়া উপায় ছিল না। মিলারের সঙ্গে সেটাই আলোচনা করেছিলাম। শেষ বলটা ব্যাটের মাঝখানেই লেগেছিল। তখনই নিশ্চিত ছিলাম বলটা মাঠের বাইরে যাবে। আমার মনে হয়েছিল ওডিন একটু বাইরে বল করবে। কারণ পঞ্চম বলটাও তাই করেছিল। ছয় হলেও বল ব্যাটের ঠিক মাঝে লাগেনি। মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম এবং ব্যাট চালাই। নিজের ভাবনা বাস্তবায়িত করতে পারায় ভাল লাগছে।’’
দলের পরিবেশ নিয়েও খুশি রাহুল। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের সাজঘরের পরিবেশ বেশ ঠান্ডা। আশিস ভাই (নেহরা), গ্যারি কারস্টেন এবং অন্য সাপোর্ট স্টাফরা দুর্দান্ত কাজ করছেন। আমাদের বলা হয়েছে শুধু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে। দল থেকে ভাল সমর্থন পাচ্ছি।’’
তেওয়াটিয়ার এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং আগেও দেখা গিয়েছে আইপিএলে। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে শারজায় পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেই এক ওভারে ৫টি ছয় মেরেছিলেন। বোলার ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই শেলডন কটরেল।
শেষ দু’বলে দু’টি ছয় মারার কীর্তি রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক রবীন্দ্র জাডেজারও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে সেই খেলায় শেষ দু’বলে অবশ্য দরকার ছিল সাত রান।তাই কৃতিত্ব একই হলেও জাডেজাকে ধোনি, রাহুলের সঙ্গে একই তালিকায় রাখতে চান না রক্ষণশীল ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।