এ বারের আইপিএলের নিলামে প্রথমে তাঁকে কোনও দল কেনেনি। পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আরশাদ খান চোটের কারণে ছিটকে গেলে তাঁকে দলে নেওয়া হয়। নবম ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম ওভারেই সঞ্জুকে আউট করেন কার্তিকেয়।
অভিষেকে দুরন্ত বল করে বাড়ি ফিরবেন স্পিনার ছবি: আইপিএল
আইপিএল অভিষেকেই নজর কেড়েছেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে দুরন্ত বল করেছেন। নিয়েছেন বিপক্ষ অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের উইকেট। তাঁকে ডাকা হচ্ছে রহস্যময় স্পিনার হিসাবে। মধ্যপ্রদেশের সুলতানপুরের বাসিন্দা কুমার কার্তিকেয় শেষ ন’বছর নাকি বাড়িই যাননি।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে কার্তিকেয় বলেন, ‘‘আমি গত ৯ বছর বাড়ি ফিরিনি। ২০১৩ সালে বাড়ি ছাড়ার সময় মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যত দিন না জীবনে কিছু করতে পারছি তত দিন বাড়ি ফিরব না। মা-বাবা রোজ ফোন করে। কিন্তু আমি নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল। আইপিএল শেষ হলে এ বার বাড়ি যাব।’’
বাঁ হাতে অফ ও লেগ স্পিন দু’টোই করতে পারেন কার্তিকেয়। সঙ্গে রয়েছে ক্যারম বল। লাইন, লেংথের সঙ্গে বলের গতির হেরফের তাঁর অন্যতম শক্তি। একই অ্যাকশনে সব ধরনের বৈচিত্র করতে পারায় ব্যাটারদের পক্ষে খেলতে সমস্যা হয়। রাজস্থান ম্যাচেও সেটা দেখা গিয়েছে। ম্যাচের পরে অধিনায়ক রোহিত শর্মাও তাঁর প্রশংসা করেছেন।
এ বারের আইপিএলের নিলামে প্রথমে তাঁকে কোনও দল কেনেনি। পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আরশাদ খান চোটের কারণে ছিটকে গেলে তাঁকে দলে নেওয়া হয়। নবম ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম ওভারেই সঞ্জুকে আউট করেন কার্তিকেয়। বিপক্ষে ছিলেন এ বারের সব থেকে বিধ্বংসী ব্যাটার জস বাটলার। কার্তিকেয়র সামনে তাঁর ব্যাটও চুপ তাকে। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন এই বাঁ হাতি স্পিনার।
২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের হয়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক হয় কার্তিকেয়র। সেই বছরই রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। ২০১৯ সালে মধ্যপ্রদেশের হয়েই সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ ট্রফিতে অভিষেক হয় এই বাঁ হাতি স্পিনারের। ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন হলেও অল্প দিনের মধ্যে নাম কামিয়েছেন কার্তিকেয়। এ বার আইপিএলের দুনিয়াতেও অভিষেকে নজর কাড়লেন তিনি।