কেকেআর-এর বিরুদ্ধে মারমুখী ধোনি। ছবি: আইপিএল
স্বেচ্ছায় চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্ব ছেড়েছেন। প্রথমবার সিএসকে-র হয়ে আইপিএল খেলছেন দলের এক জন সাধারণ সদস্য হিসেবে। আইপিএল এমন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দেখতে অভ্যস্ত নয়।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের একাদশ ওভারে ব্যাট হাতে মাঠে নামলেন ধোনি। গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজার হাতে। তবু ম্যাচের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে থাকলেন অধিনায়ক ধোনি। আইপিএলে ধোনির নেতৃত্বের বিভিন্ন স্মরণীয় ঘটনা উঠে এল ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কথায়। ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ম্যাচে কী ভাবে লক্ষীরতন শুক্লাকে আউট করেছিলেন বা ২০১০ সালের ফাইনালে পোলার্ডকে আউট করার ঘটনা উঠে আসে আলোচনায়।
এ দিন পর পর উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে সে সময় ডাগ আউটে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। সাত নম্বরে নেমে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ও রুখলেন ধোনি। চেন্নাই তখন মাত্র ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। অধিনায়ক জাডেজাকে নিয়ে ধরলেন দলের হাল। শুধু তাই নয়, কেকেআর-এর বোলিং আক্রমণ থেকে খানিকটা আগলেও রাখলেন অধিনায়ককে। করলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান। খেললেন৩৮ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস। মারলেন সাতটি চার এবং একটি ছয়। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে জাডেজাকে নিয়ে ৭০ রান তুলে দলকে পৌঁছে দিলেন লড়াই করার মতো জায়গায়।
ইনিংসের মাঝে মধ্যে দেখা গেল পুরনো ঝলকও। কে বলবে এখন আর নিয়মিত ক্রিকেট খেলেন না ঝাড়খণ্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ধোনির ব্যাট যতবার বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাল তত বার গর্জে উঠল স্টেডিয়াম। কথায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। ধোনিই এই চেন্নাই দলের পুরনো চাল। তিনিই চেন্নাই ইনিংসের সেরা পারফরমার। এই ৪০ বছর বয়সেও। কারা যেন বলছেন নেতৃত্ব ছাড়া আসলে তাঁর অবসরের গ্রহে পা রাখার প্রথম পদক্ষেপ।
আইপিএল কিন্তু শুরু থেকেই ধোনিময়। ফের প্রমাণ করে দিলেন মুকুট খুলে রাখলেও তিনিই আসল রাজা।