মুম্বইয়ের ছেলে শ্রেয়স আয়ার এ বছর কলকাতার নেতা। এত দিন দিল্লি ক্যাপিটালস দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কলকাতার হয়ে খেলার জন্য মুম্বই পৌঁছেই স্পষ্ট বাংলা উচ্চারণে শ্রেয়স বলেন, “আমি তোমাকে খুব ভালবাসি কলকাতা।” বাংলায় কোনও অনুষ্ঠানে এলে বহু তারকাই এমন কথা বলে থাকেন। এ বছর আইপিএল খেলার জন্য কলকাতায় আসতে না পারলেও নেটমাধ্যমে সেই কথাই শোনা গেল শ্রেয়সের গলায়।
অজিঙ্ক রহাণে এবং শ্রেয়স আয়ার। ছবি: কেকেআর
ইডেনে এ বার আইপিএলের ম্যাচ খেলতে পারছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। সব ম্যাচ খেলতে হবে মহারাষ্ট্রে। কিন্তু বাংলার মানুষের আবেগকে পাশে চাইছে কলকাতা। নেটমাধ্যমে একাধিক পোস্টে রয়েছে সেই ইঙ্গিত।
মুম্বইয়ের ছেলে শ্রেয়স আয়ার এ বছর কলকাতার নেতা। এত দিন দিল্লি ক্যাপিটালস দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কলকাতার হয়ে খেলার জন্য মুম্বই পৌঁছেই স্পষ্ট বাংলা উচ্চারণে শ্রেয়স বলেন, “আমি তোমাকে খুব ভালবাসি কলকাতা।” বাংলায় কোনও অনুষ্ঠানে এলে বহু তারকাই এমন কথা বলে থাকেন। এ বছর আইপিএল খেলার জন্য কলকাতায় আসতে না পারলেও নেটমাধ্যমে সেই কথাই শোনা গেল শ্রেয়সের গলায়।
কিন্তু এ কথা তো অনেকেই বলেন, এতে কি বাংলার আবেগ ছোঁয়া যায়? নাইটদের নেটমাধ্যমের পাতা বলছে, শুধু এখানেই আটকে নেই তারা। বাংলা উচ্চারণের দিকেও নজর দিচ্ছে তারা। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে শ্রেয়সকে এক জন জল দিতে এসে হিন্দি উচ্চারণে জল বলছেন। কলকাতার অধিনায়ক তাঁকে শুধরে দিয়ে জলের সঠিক উচ্চারণ করে বলছেন, সেটা বলতে। পোস্টের উপরে লেখা, ‘কেকেআর অ্যাডমিন (যিনি নেটমাধ্যমের বিষয়টি দেখেন) বাংলা শিখছে শ্রেয়সের কাছে।’
এই ধরনের ভিডিয়োর মাঝে রবিবার নজর কাড়ল একটা অলঙ্করণ। কফি হাউসের সামনে কাঁধে ঝোলা ব্যাগ আর হাতে বই নিয়ে অজিঙ্ক রহাণে। বাঙালির আবেগের জায়গা কফি হাউস। কলকাতার সেই ঐতিহ্যের সামনে রহাণের অলঙ্করণ।
কিন্তু এই পোস্টগুলিতে একাংশের ক্ষোভ স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, কলকাতা দলে কোনও বাংলার ক্রিকেটার নেই। কেউ লিখছেন, ‘কলকাতার ফ্রাঞ্চাইজ দলে খেললেই তার মধ্যে বাঙালিয়ানা চলে আসে না, যদি না জন্মসূত্রে সে বাঙালী হয়..’, কেউ আবার বলছেন, ‘আগে এক জন বাঙালি ক্রিকেটারকে দলে নিন।’