২০১৮ সালে খেলেছিলেন চারটি ম্যাচ। মোট রান ছিল ২৯। ২০১৯ সালে পাঁচটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩৭ রান। ২০২০ সালে একটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ১১ রান। ২০২১ সালে কোনও ম্যাচই খেলেননি রিঙ্কু। এ বারের নিলামে ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে কিনে নেয় কলকাতা। তিনটি ম্যাচ খেলে রিঙ্কুর সংগ্রহ ১০০ রান। ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি।
রিঙ্কু সিংহ। ছবি: আইপিএল
২০১৮ সালে তাঁকে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। পঞ্চম আইপিএল খেলছেন কলকাতার হয়ে। তবুও তাঁকে দলের নতুন সদস্য বলছেন দলের নতুন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম খুশি তাঁকে কাজে লাগাতে পেরে। কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নেওয়া রিঙ্কু তো দলে রয়েছেন বহু বছর, তবুও তাঁকে চিনতে এত দেরি!
সোমবার ম্যাচ শেষে শ্রেয়স বলেন, “যে ভাবে নিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে রিঙ্কু মাথা ঠান্ডা রেখে খেলল সেটা অসাধারণ। কলকাতার ভবিষ্যতের সম্পদ হতে চলেছে ও। যে ভাবে রিঙ্কু শুরু করছে তাতে দেখে মনেই হচ্ছে না ও দলে সবে এসেছে।” এ বারের আইপিএলে তৃতীয় ম্যাচ খেললেও কলকাতার হয়ে পাঁচ বছরে ১৩টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে।
২০১৮ সালে খেলেছিলেন চারটি ম্যাচ। মোট রান ছিল ২৯। ২০১৯ সালে পাঁচটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩৭ রান। ২০২০ সালে একটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ১১ রান। ২০২১ সালে কোনও ম্যাচই খেলেননি রিঙ্কু। এ বারের নিলামে ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে কিনে নেয় কলকাতা। তিনটি ম্যাচ খেলে রিঙ্কুর সংগ্রহ ১০০ রান। ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি।
ম্যাকালাম বলেন, “এই রাতটা তো দুর্দান্ত। বিশেষ করে নীতীশ রানা এবং রিঙ্কু সিংহের পারফরম্যান্স অনবদ্য। আশা করব ওরা আরও এগোবে এখান থেকে।” কোচ খুশি। অধিনায়ক খুশি। পাঁচ বছর পর রিঙ্কু যেন জানান দিলেন তিনিও আছেন কলকাতা দলে। উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ নিয়েই খেলতে নেমেছেন এ বারের আইপিএলে।
ম্যাচের সেরা হয়ে রিঙ্কু বলেন, “আমি যেখানকার ছেলে, সেই আলিগড় থেকে অনেকেই রঞ্জি খেলেছে। কিন্তু আইপিএলে খেলার সুযোগ এখনও কেউ পায়নি। আমিই প্রথম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চুটিয়ে খেলি। কিন্তু আইপিএলের চাপ আলাদা। এখানে অনেক বেশি প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হয়। গত পাঁচ বছর ধরে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কঠোর পরিশ্রম করেছি। চোট পেয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে এসেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভাল খেলেছি।”
পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন রিঙ্কু। এত দিন পর তাঁকে দেখতে পেল কেকেআর।