গুজরাত টাইটান্সের জার্সিতে হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: টুইটার থেকে
তিনি কি সম্পূর্ণ চোট মুক্ত? এই প্রশ্ন ঘিরেই দীর্ঘ দিনের ধোঁয়াশা। হার্দিক পাণ্ড্যকে নিয়ে অন্ধকারে জাতীয় নির্বাচকরাও। যদিও আইপিএল নিলাম পর্ব মেটার পর থেকেই তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাত টাইটান্স দাবি করছে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। শুরু করেছেন বোলিং অনুশীলনও।
এবার মুখ খুললেন গুজরাত অধিনায়ক নিজেই। হার্দিকের দাবি, আইপিএলের অন্যতম বিস্ময় হতে চলেছে তাঁর বোলিং। জানিয়েছেন, চোট মুক্ত হওয়ার পর নাকি সম্পূর্ণ নতুন চেহারায় দেখা যাবে বোলার হার্দিককে। আইপিএলে কি আপনি বোলিং করতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তরেই গুজরাতের জার্সির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হার্দিক বলেছেন, ‘‘আইপিএলে এটা একটা বিস্ময় হতে চলেছে। চমকের অপেক্ষায় থাকুন।’’
নিলামের আগেই হার্দিককে ১৫ কোটি টাকা দিয়ে নিয়েছে গুজরাত। ২৮ বছরের অলরাউন্ডারই এবার নেতৃত্ব দেবেন। অধিনায়কত্ব নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন তিনি। হার্দিক বলেছেন, ‘‘সাফল্য হবে সতীর্থদের। ব্যর্থতার দায় আমার। খেলোয়াড়রা সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে থাকতে পারে সে ব্যাপারে অধিনায়ক হিসেবে সাহায্য করতে চাই। সবার প্রতি সৎ থাকব। ভাল সময় আমাদের কাউকেই হয়তো ওদের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু এই মরসুম পরীক্ষা নেবে। কঠিন সময় আসবে। সে সময় ওদের পাশে থাকতে চাই।’’
এবারেই প্রথম আইপিএল খেলবে গুজরাত। ২৮ মার্চ তাদের প্রথম খেলা প্রতিযোগিতার আর এক নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। বেশ শক্তিশালী দল তৈরি করেছে গুজরাত। শুভমন গিল, রশিদ খান, ম্যাথু ওয়েড, মহম্মদ শামি, লকি ফার্গুসনদের মতো দেশ-বিদেশের তারকারা রয়েছেন। দল নিয়ে খুশি হার্দিক বলেছেন, ‘‘আমরা এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে সকলেই অনুভব করবে যে তারা বাড়িতেই রয়েছে। নিরাপত্তা অনুভব করলে সকলেই নিজের সেরাটা দিতে পারবে। চাইব দলের সকলেই অনুভব করুক একটা নতুন সংস্কৃতি তৈরি করতেই একত্রিত হয়েছি আমরা।’’
গুজরাতের প্রধান কোচ আশিস নেহরা। তাঁকে নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত হার্দিক। গুজরাত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘উনি একদম অন্য রকম। কখনই কোচের মতো ব্যবহার করেন না। নেহরাজি খুব ভাল ভাবে বলে দেন কার থেকে কী চাইছেন এবং সকলকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দেন। ভুল হতেই পারে। কিন্তু শিখে নেওয়াও জরুরি। ওঁর সঙ্গে সময় কাটাতে পারব ভেবেই আমি উত্তেজিত।’’
পিঠে চোট পাওয়ার পর থেকেই বোলিং করতে পারছিলেন না হার্দিক। দুবাইয়ে আয়োজিত গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলেন তিনি। তারপর আর ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি। সম্প্রতি তাঁর ফিটনেস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মাও। স্বভাবতই আইপিএলে তাঁর দিকে বাড়তি নজর থাকবে জাতীয় নির্বাচকদের এবং দলের।