IPL 2022

IPL 2022: জিতেই চলেছে গুজরাত, কোহলীদের ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত হার্দিকদের

টানা ছয় ম্যাচ জিতলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। প্রতি বারেই শেষ মুহূর্তে ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে আসছে গুজরাত। কেউ না কেউ দলের রক্ষাকর্তা হয়ে দেখা দিচ্ছেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধেও সেই একই ছবি দেখা গেল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ ১৯:১৯
Share:

গুজরাতকে জেতালেন মিলার-তেওয়াটিয়া ছবি: আইপিএল

জিতেই চলেছে গুজরাত টাইটান্স। টানা ছয় ম্যাচ জিতলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। প্রতি বারেই শেষ মুহূর্তে ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে আসছে গুজরাত। কেউ না কেউ দলের রক্ষাকর্তা হয়ে দেখা দিচ্ছেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধেও সেই একই ছবি দেখা গেল। যখন সবাই ভাবছে পাঁচ ম্যাচ জেতার পরে এ বার হারবে গুজরাত। তখনই দেখা গেল ডেভিড মিলার-রাহুল তেওয়াটিয়া জুটিকে। বেঙ্গালুরুর হাত থেকে ম্যাচ নিয়ে চলে গেলেন তাঁরা। এ বারের আইপিএলে রান তাড়া করতে নেমে সব ম্যাচ জেতার রেকর্ড বজায় রাখল গুজরাত। অন্য দিকে হারের হ্যাটট্রিক করল আরসিবি।

Advertisement

গুজরাতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওভারেই প্রদীপ সঙ্গওয়ানের বলে আউট হয়ে যান ডুপ্লেসি। ফলে রান তোলার দায়িত্ব চাপে কোহলীর কাঁধে। রজতের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কোহলী। রজত ভাল ছন্দে থাকায় সুবিধা হয় কোহলীর। ছন্দ খুঁজে পাওয়ার জন্য কিছুটা সময় পান তিনি। টি২০ ক্রিকেট হিসাবে বেশ ধীরে খেললেও কয়েকটি শটে দেখা গেল কোহলীর ছাপ। ছ’টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। ১৫ ম্যাচ পরে আইপিএলে অর্ধশতরান করলেন তিনি।

অন্য দিকে ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন রজত। তাঁকে ফেরান সঙ্গওয়ান। ৫৩ বলে ৫৮ রান করে মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলী। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান তুললেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ বলে ৩৩ করেন তিনি। রান পাননি কার্তিক। শেষ দিকে মহিপাল লোমরোর দলকে ১৭০ রানে নিয়ে যান। কোহলী রানে ফেরায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর স্বস্তি পেলেও গত কয়েক ম্যাচে অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি ও দীনেশ কার্তিকের খারাপ ফর্ম চিন্তায় রাখবে দলকে।

Advertisement

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন গুজরাতের দুই ওপেনার। শুভমন গিল কিছুটা ধীরে খেললেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। দু’জনে মিলে ৫০ রানের জুটি বাঁধেন। রানের গতি তুলতে গিয়ে ২৯ রান করে হাসরঙ্গর বলে আউট হন ঋদ্ধি।

বল হাতে কার্যকরী ভূমিকা নিলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। প্রথমে ৩১ রানের মাথায় শুভমন ও তার পর মাত্র তিন রানে হার্দিককে আউট করলেন তিনি। সাই সুদর্শনকে ফেরান হাসরঙ্গ। উইকেটের পিছনে ভাল ক্যাচ ধরেন অনুজ রাওয়ত।

পর পর তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রান তোলার দায়িত্ব ছিল ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়ার উপর। প্রতি ম্যাচে গুজরাতের শেষ দিকের ব্যাটাররা দলকে জয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই ম্যাচেও সেই কাজ করা শুরু করেন দু’জনে। প্রতি ওভারে বড় শট মারছিলেন দুই বাঁ হাতি ব্যাটার। তাঁদের থামাতে পারেনি আরসিবি। তার খেসারত দিতে হল। তিন বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাত। মিলার ৩৯ ও তেওয়াটিয়া ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement