লিগ তালিকায় সবার উপরে থাকা লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল তারা। এই জয়ের ফলে লোকেশ রাহুলদের টপকে ফের শীর্ষে পৌঁছে গেলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। সেই সঙ্গে এ বারের আইপিএলে প্রথম বার খেলতে নেমে প্রথম দল হিসাবে প্লে-অফে উঠল গুজরাত।
উল্লাস গুজরাতের ক্রিকেটারদের ছবি: আইপিএল
পর পর দু’ম্যাচে হারের পরে অবশেষে জয়ে ফিরল গুজরাত টাইটান্স। লিগ তালিকায় সবার উপরে থাকা লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল তারা। এই জয়ের ফলে লোকেশ রাহুলদের টপকে ফের শীর্ষে পৌঁছে গেলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। সেই সঙ্গে এ বারের আইপিএলে প্রথম বার খেলতে নেমে প্রথম দল হিসাবে প্লে-অফে উঠল গুজরাত।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি গুজরাতের। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দু’উইকেট পড়ে যায় তাদের। ৫ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। ১০ রান করে আবেশ খানের শিকার হন ম্যাথু ওয়েড। দু’উইকেট পড়ার পরে জুটি বাঁধেন শুভমন গিল ও হার্দিক। শুভমন ভাল ছন্দে ছিলেন। বেশ দ্রুত রান করছিলেন তিনি। কিন্তু হার্দিক ১১ রান করে আবেশের বলে আউট হয়ে যান। ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওতিয়া সঙ্গে দেন শুভমনকে। মিলার ২৬ রান করেন। শুভমন অর্ধশতরান করেন। শেষ পর্যন্ত ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তেওতিয়া ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে গুজরাত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ধীরে করেন লখনউয়ের দুই ওপেনার কুইন্টন ডিকক ও লোকেশ রাহুল। গুজরাতের বোলাররা দুরন্ত বল করছিলেন। লখনউকে প্রথম ধাক্কা দেন যশ দয়াল। ডিকককে ১১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরান তিনি। রাহুলকে আউট করেন মহম্মদ শামি। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে করণ শর্মাকে আউট করেন দয়াল। ৩৩ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় লখনউয়ের।
দীপক হুডা কিছুটা চেষ্টা করেন। তিনি এক দিকে টিকে থাকলেও অন্য দিকে পর পর উইকেট পড়ছিল। ক্রুণাল পাণ্ড্য, আয়ুষ বাদোনি, মার্কাস স্টোইনিস, জেসন হোল্ডাররা কেউ রান পাননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুললেন রশিদ খান ও সাই কিশোর। শেষ পর্যন্ত ৮২ রানে শেষ হয়ে যায় লখনউয়ের ইনিংস। ৬২ রানে ম্যাচ জেতে গুজরাত।