স্টিফেন ফ্লেমিং। ছবি: আইপিএল
চেন্নাই সুপার কিংস-মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের প্রথম দশ বলের সময় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা হয়েছিল। খেলা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও বিঘ্নিত হয়েছিল ডিআরএস ব্যবস্থা।
সে সময়ই আউট হন চেন্নাইয়ের ব্যাটার ডেভন কনওয়ে। তাঁর আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয় ছিল চেন্নাই শিবিরের। ডিআরএস-এর সুবিধা না পাওয়ায় হতাশ চেন্নাইয়ের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। কনওয়ে আউট হওয়ার পরেই আরও দু’টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই।
অসন্তোষ প্রকাশ করে ফ্লেমিং বলেছেন, ‘‘আমাদের ভাগ্য খানিকটা খারাপই। ঘটনাটা ওই সময়েই হল। হতাশ হওয়ার মতোই ব্যাপার। যদিও এটা খেলারই অংশ। বিষয়টা আমাদের পক্ষে যায়নি। তার পরেই আমরা আরও উইকেট হারাই। আমরা এর থেকে অনেক ভাল খেলতে পারি। যে কোনও কারণেই হোক, শুরুটা খুব খারাপ হয়েছে আমাদের।’’
আইপিএলের লিগ পর্বের খেলা প্রায় শেষ হয়ে এলেও দল গুছিয়ে নিতে না পারার কথা মেনে নিয়েছেন ফ্লেমিং। চেন্নাই কোচ বলেছেন, ‘‘আমরা এখনও আমাদের দলকে জানছি, চিনছি। অনেক দলেরই এ বার একই অবস্থা। আশা করছি বাকি দু’টো ম্যাচে আমরা আরও কিছু বিষয় বুঝতে পারব। সে ভাবেই ভবিষ্যতে এগোতে হবে আমাদের। যদিও একটা ভাল মরসুম আর খারাপ মরসুমের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। নিজেদের ফলাফল নিয়ে আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করেছি। অবশ্যই কয়েকটা জায়গায় আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে।’’
দলের অনেকেই নতুন হওয়ায় এ বার খানিকটা সমস্যা হয়েছে বলে মনে করেন ফ্লেমিং। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘কিছু ইতিবাচক দিকও কিন্তু রয়েছে। সিমরজিৎ সিংহ এবং মুকেশ চৌধুরী দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। এই মরসুমে ওরা অনেক উন্নতি করেছে। বিশেষ করে মুকেশের কথা বলতেই হবে। বোলার হিসেবে এখন মুকেশ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। হাতে আরও গোটা চারেক ম্যাচ থাকলে অন্য রকম কিছু হতে পারত। আগামী মরসুমে দীপক চাহারও থাকবে। নতুন বলে আক্রমণের অনেক বিকল্প থাকবে আমাদের হাতে।’’ দল প্রত্যাশিত সাফল্য বা ফল না পেলেও কোচ হিসেবে ইতিবাচক থাকতে চাইছেন ফ্লেমিং।