মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসের ১৩তম ওভারের তৃতীয় বল। উমেশ যাদবের বল মাঠের বাইরে পাঠাতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ফেলেন তিলক বর্মা। বল উঠে যায় অনেক উপরে। এর পরেই ঘটে ম্যাচের সেরা ঘটনা।
বল অনেক উপরে উঠলেও বেশি দূরে যায়নি। উইকেটের কিছুটা পিছনেই নামতে শুরু করে বল। উইকেটরক্ষকের জন্য অত্যন্ত সহজ ক্যাচ। স্যাম বিলিংস দৌড়ে আসেন মুম্বইয়ের চতুর্থ ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখাবেন বলে। এই ক্যাচ যে কোনও উইকেটরক্ষকের পক্ষেই ফেলে দেওয়া কঠিন। নাইটরা উৎসবের মুহূর্তের অপেক্ষায়।
ঠিক এই সময়ই তীব্র গতিতে ফাইন লেগ অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন অজিঙ্ক রহাণে। কেবল ছুটেই আসেনি, বিলিংসের পথ এবং গতি রোধ করেন। তাঁকে দেখে থেমে যান বিলিংসও। উইকেটরক্ষকের ক্যাচ তালু বন্দি করতে মরিয়া ঝাঁপ দেন ভারতীয় টেস্ট দলের প্রাক্তন সহ অধিনায়ক।
মুহূর্তের জন্য কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় স্টেডিয়াম। তার পরেই তীব্র আফসোস। বল রহাণের আঙুল স্পর্শ করে মাটিতে পড়ে। জীবন পান তিলক। সহজ সুযোগ এ ভাবে নষ্ট হওয়ায় বিরক্তিতে অস্ফুটে কিছু বলে ওঠেন উমেশ। বিলিংসও কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে নিজের জায়গায় ফিরে যেতে শুরু করেন। রহাণে তখনও মাটিতে শুয়ে।
অভিজ্ঞ রহাণের কাছ থেকে এমন হঠকারিতা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই। ক্যাচ নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করার পর বিলিংসকেও যথাযথ ভাবে জানাননি। মুম্বইয়ের উইকেট বাঁচলেও ওঠে হাসির রোল। ক্রিকেটপ্রেমীরা যেমন সমালোচনা করলেন, তেমন মজাও করলেন ঘটনাটি নিয়ে। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারেও কলকাতা-মুম্বই ম্যাচের সেরা মুহূর্ত রহাণের এই সুযোগ নষ্ট।