আবেশকে নিয়ে উচ্ছ্বাস রাহুলদের। ছবি আইপিএল
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জিতল লখনউ সুপার জায়ান্টস। অপর দিকে, টানা দ্বিতীয় হার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। আবেশ খানের দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে সোমবার কেএল রাহুলের লখনউ ১২ রানে হারিয়ে দিল কেন উইলিয়ামসনের হায়দরাবাদকে। লখনউয়ের তোলা ১৬৯/৭-এর জবাবে ১৫৭/৯-এ আটকে গেল হায়দরাবাদ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি লখনউয়ের। নিজের পর পর দু’ওভারে দু’টি উইকেট তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় লখনউ। সুন্দরের বলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন কুইন্টন ডি’কক। আগের ম্যাচে লখনউকে জেতানো এভিন লুইসকে পরের ওভারেই তুলে নেন সুন্দর। স্পিনের ফাঁদে ফেলে এলবিডব্লিউ করেন।
পঞ্চম ওভারে মণীশ পাণ্ডেকে হারায় লখনউ। পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট চলে যায় তাদের। স্কোরবোর্ডে রান ছিল মাত্র ৩২। সেখান থেকে তাদের হাল ধরেন অধিনায়ক কেএল রাহুল এবং দীপক হুডা। দু’জনের মিলে চতুর্থ উইকেটে ৮৭ রান যোগ করেন। হুডা এর মধ্যে বেশি আগ্রাসী ছিলেন। তাঁর ৩৩ বলে ৫১ রানের ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার এবং তিনটি ছয়। ১৯তম ওভারে ফিরে যান রাহুল। ৫০ বলে ৬৮ করেছেন তিনি। এর পর আয়ুষ বাদোনি ১২ বলে ১৯-এর সৌজন্যে হায়দরাবাদকে ১৭০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় লখনউ।
হায়দরাবাদও শুরুটা ভাল করেনি। চতুর্থ ওভারেই ফিরে যান অধিনায়ক উইলিয়ামসন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে যান অভিষেক শর্মাও। ঠিক যখন বড় রান খেলার দিকে এগোচ্ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এডেন মার্করাম, তখন তাঁকে তুলে নেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। দলকে ক্রমশ জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন রাহুল ত্রিপাঠি। তবে তাঁকেও তুলে নেন ক্রুণাল।
দলকে জেতানোর ভার তখন ছিল নিকোলাস পুরান এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে। কিন্তু একটি ওভারই বদলে দিল খেলা। ১৮তম ওভারে আবেশ খানকে নিয়ে এলেন রাহুল। তার আগে দু’ওভারে ১৭ রানে দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন আবেশ। প্রথম বলেই পুরান ছয় মারলেন তাঁকে। কিন্তু হতাশ না হয়ে আবেশ পরের বলটাই স্লোয়ার দেন। লং-অফে দীপক হুডা তালুবন্দি করেন পুরানের ক্যাচ। পরের বলে আব্দুল সামাদকেও ফিরিয়ে দেন আবেশ। ওই ওভারটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।