এক ঘণ্টায় ডিন্ডার অভিমান কি বাড়ল গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
প্রথমে ছিল এক লাইনের ফেসবুক পোস্ট। লেখা, ‘গুডবাই কেকেআর ২০২২’। কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলের প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই নিজের ফেসবুকে এই কথা লেখেন এক সময় কেকেআরের হয়ে খেলা বাংলার ক্রিকেটার অশোক ডিন্ডা। কিন্তু ৫৭ মিনিট পরে সেই পোস্ট বেড়ে গেল। আরও দু’টি বাক্য যোগ করেন ডিন্ডা। তাতে রয়েছে বাড়তি ১৯টি শব্দ।
ডিন্ডার পরিবর্তিত পোস্ট, ‘গুডবাই কেকেআর ২০২২। পরের মরসুমের জন্য শুভেচ্ছা। আশা করছি পরের বার দলে বাংলার কয়েক জন ক্রিকেটারকে দেখতে পাব।’
ডিন্ডার প্রথম পোস্টের পরে প্রশ্ন উঠেছিল, কেন এই ধরনের কথা বলতে গেলেন তিনি। কোনও অভিমান থেকে তিনি তা করেছেন, না কি ক্ষোভ কাজ করেছে মনের গভীরে? যদিও পরিবর্তিত পোস্ট থেকে এটা পরিষ্কার যে পরের বার থেকে আরও বাঙালি ক্রিকেটারকে কলকাতার দলে দেখতে চান ডিন্ডা। সেইসঙ্গে দলকে পরের মরসুমের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।
আইপিএলের সব দলেই স্থানীয় ক্রিকেটারদের দেখা যায়। বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার ফলে অনেক দ্রুত পরিণত হন তাঁরা। ধার বাড়ে খেলার। তার ফল দেখা যায় রঞ্জি, সৈয়দ মুস্তাক আলির মতো প্রতিযোগিতায়। কিন্তু কেকেআরই একমাত্র দল যার নামে কলকাতা থাকলেও দলে কোনও বাঙালি ক্রিকেটার নেই।
আইপিএলের প্রথম দিকের কয়েকটি মরসুমে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ডিন্ডা, লক্ষ্মীরতন শুক্ল, ঋদ্ধিমান সাহা, দেবব্রত দাসরা খেলেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু সৌরভ কলকাতা ছেড়ে পুণেতে যোগ দেওয়ার পর থেকে বাঙালির সংখ্যা কমতে কমতে শূন্যতে গিয়ে ঠেকে। দলে কোনও বাঙালি ক্রিকেটার না থাকায় কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির সমালোচনা করেন অনেকে। তাঁদের দাবি, মুম্বইয়ের অভিনেতা দল কিনেছেন, দল সামলান দক্ষিণ ভারতের ব্যক্তি, তাঁরা আর বাঙালিদের আবেগ কী বুঝবেন। সেই প্রশ্ন আরও এক বার তুললেন ডিন্ডা।