দীনেশ কার্তিক। —ফাইল চিত্র।
২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইপিএল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল দীনেশ কার্তিকের। পরের আইপিএলে তাঁকে দলে রাখতে চেয়েছিল মুম্বই। কিন্তু কার্তিক থাকতে রাজি হননি। সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে ১১ বছর পর মেনে নিলেন তিনি। এখনও আফসোস যায়নি কার্তিকের। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে কার্তিক তাঁর জীবনের দু’টি আফসোসের কথা বলেন। তার মধ্যে মুম্বইয়ের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও আক্ষেপ রয়েছে বলে জানালেন তিনি।
২০০৮ সাল থেকে আইপিএল খেলছেন কার্তিক। শুরুটা হয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে (এখন দিল্লি ক্যাপিটালস)। পরে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে কার্তিক খেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু তাঁর এখনও আফসোস হয় মুম্বই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে। ২০১৩ সালে মুম্বই আইপিএল জেতে। সে বার ১৯ ম্যাচে ৫১০ রান করেছিলেন কার্তিক। তিনি বলেন, “২০১৩ সালে মুম্বই আইপিএল জেতার পর আমাকে দলে রেখে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি থাকতে চাইনি। বয়স কম ছিল। অভিষেক নায়ারের মতো কোনও কোচ ছিল না তখন, যে আমাকে বলত মুম্বইয়ে থেকে যাওয়া ঠিক হবে। আমি নিলামে উঠতে চেয়েছিলাম। ওই সিদ্ধান্তটা আরও ভেবে নেওয়া উচিত ছিল আমার। মুম্বই দলে থাকলে আমি আরও ভাল ক্রিকেটার হতে পারতাম। ওই দলে থাকলে আরও উন্নতি করতাম।”
মুম্বইয়ের হয়ে কেন না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কার্তিক? তিনি বলেন, “তখন বয়স কম ছিল। মনে হয়েছিল নিলামে গেলে আরও বেশি টাকা পাব। সেই কারণে নিলামে উঠতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হয়, আমি যদি মুম্বই দলে রয়ে যেতাম তা হলে ক্রিকেটার হিসাবে উন্নতি করতাম। ওদের দলে প্রযুক্তিগত সুবিধা অনেক বেশি ছিল। সেই সঙ্গে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে খেলার সুযোগ ছিল। কোচ ছিল রিকি পন্টিং। ওরা দলকে খুব ভাল দিশা দেখাতে পারে। আমার সঙ্গে আকাশ এবং অনন্ত অম্বানির সম্পর্কও ভাল ছিল। সুযোগ ছিল আমার কাছে মুম্বইয়ের হয়ে খেলার। কিন্তু আমি নিজেই সেটা ছেড়ে দিয়েছিলাম।”
শুধু মুম্বইয়ের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নয়, আরও একটি আফসোস রয়েছে কার্তিকের। তিনি বলেন, “আমার আর একটা বিষয় নিয়ে আফসোস আছে। আইপিএলে কখনও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি। চেন্নাইয়ে আমার জন্ম। সারা জীবন সেখানে ক্রিকেট খেলেছি। তাই চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলতে পারলে ভাল লাগত। কিন্তু ওরা নিলামে আমাকে বার বার নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাই আমার তেমন ক্ষোভ নেই।”