Virat Kohli

১৪৪৩ কিলোমিটার দূরে বিরাট, তবু হায়দরাবাদের মাঠে ফিরল কোহলি-গম্ভীর ঝামেলা

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শোনা গেল ‘কোহলি, কোহলি’ চিৎকার। সেটাও লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সামনে। নিজে না থাকা সত্ত্বেও কোহলি-গম্ভীর বিবাদ আরও এক বার প্রকাশ্যে চলে এল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ১৮:২৮
Share:

কোহলি এবং গম্ভীরের বিবাদের ছায়া দেখা গেল হায়দরাবাদে। — ফাইল চিত্র

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শনিবার খেলতে নামেননি তিনি। এমনকি হায়দরাবাদের ধারেকাছেও নেই। নিজের দলের হয়ে খেলতে রয়েছেন ১৪৪৩ কিলোমিটার দূরে জয়পুরে। তবু হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শোনা গেল ‘কোহলি, কোহলি’ চিৎকার। এবং সেটাও লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সামনে। নিজে না থাকা সত্ত্বেও কোহলি-গম্ভীর বিবাদ আরও এক বার প্রকাশ্যে চলে এল শনিবারের হায়দরাবাদে।

Advertisement

হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৯তম ওভারে একটি ‘নো বল’ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন হায়দরাবাদ দর্শকদের একাংশ। লখনউয়ের ডাগআউটের উদ্দেশে বোতল এবং বিভিন্ন জিনিস ছোড়া হতে থাকে। গম্ভীর তখন আম্পায়ারদের অভিযোগ জানাতে মাঠে ঢুকে পড়েন।

আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে ডাগআউটের দিকে ফেরার সময়েই শোনা যায় ‘কোহলি, কোহলি’ চিৎকার। গম্ভীর যত এগোচ্ছিলেন তত আওয়াজের জোর বাড়ছিল। বোঝাই গিয়েছে, কোহলির সঙ্গে সাম্প্রতিক বিবাদ নিয়ে যা হয়েছে সেই থেকেই কোহলির নাম তুলে গম্ভীরকে আরও এক বার খোঁচা দিতে চেয়েছেন দর্শকরা।

Advertisement

হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৯তম ওভার চলছিল তখন। আবেশ খান বল করছিলেন আব্দুল সামাদের উদ্দেশে। আবেশের তৃতীয় বলটি কোমরসমান উচ্চতায় উড়ে আসে আব্দুলের দিকে। মাঠে থাকা আম্পায়ার ‘নো বল’ ডাকেননি। হায়দরাবাদ সঙ্গে সঙ্গে ডিআরএস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রিপ্লেতেও দেখা যায় আবেশের বল কোমরের উপর দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারও সেটি ‘নো বল’ দেননি। তাতে রেগে যান হায়দরাবাদের ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন। মাঠে থাকা আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন দর্শকদের একাংশও। কিছু ক্ষণ পরে লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে কয়েকটি বোতল এসে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। গৌতম গম্ভীর-সহ লখনউয়ের একাধিক কোচ এবং ক্রিকেটারকে মাঠের ভিতরে ঢুকে পড়তে দেখা যায়। তাঁরা আম্পায়ারদের কিছু একটা বলেন। ‘নো বল’ না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছিলেন না দর্শকরা। তাই লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে বোতল এবং আরও কিছু জিনিস ছোড়া হয়।

কিছু সমর্থকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় লখনউয়ের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে। অবস্থা সামাল দিতে মাঠের দুই আম্পায়ার তখন লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে ছুটে যান। তাঁদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলেন ফ্লাওয়ার। লখনউয়ের কুইন্টন ডি’কক এবং হায়দরাবাদের ক্লাসেনও কিছু আলোচনা করেন। দর্শকদেরও শান্ত হওয়ার আবেদন করেন তাঁরা।

তবে সমস্যা মিটে যায় কয়েক মিনিট পরেই। লখনউয়ের কোচ এবং দু’দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলার পর আবার ম্যাচ শুরু করেন আম্পায়াররা। ইনিংস শেষে নিজের দলেরই দর্শকদের আচরণের নিন্দা করেছেন ক্লাসেন। পাশাপাশি আম্পায়ারদের সমালোচনা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement