আইপিএলে গুজরাত দলের জন্য বিশেষ নিয়ম তৈরি করেছেন হার্দিক। ছবি: আইপিএল।
ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেন না হার্দিক পাণ্ড্য। আইপিএল চলার সময় কোনও সতীর্থ সাক্ষাৎকার দিক, তাও চান না গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক। তিনি কি একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাস করেন? তিনি কি দলের মধ্যের কোনও কিছু গোপন রাখতে চান? তা নয়। সতীর্থদের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত হার্দিকের।
বড় প্রতিযোগিতায় সাফল্যের মতোই থাকে ব্যর্থতাও। কখনও কখনও কিছু বিষয় নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্ন অস্বস্তিকর হয়। কিছু প্রশ্ন বিড়ম্বনায় ফেলে। তেমন পরিস্থিতির মধ্যে সতীর্থদের ফেলতে চান না গুজরাত অধিনায়ক। বিশেষ করে দল হারলে, সতীর্থদের সাংবাদিক বৈঠকে পাঠাতে চান না তিনি। হার্দিক বলেছেন, ‘‘ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া বা পুরস্কার বিতরণের ক্ষেত্রে আমি একটা নিয়ম তৈরি করেছি। অধিনায়ক হিসাবে আমারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া উচিত। তবে সাংবাদিক বৈঠক বা সাক্ষাৎকারের সময় নিজেই যেতে চাই। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে বক্তব্যের অন্য রকম ব্যাখ্যা করা হয়। তা থেকে বিতর্ক হয়। আমার ক্রিকেটাররা তেমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ুক চাই না। আবার কেউ ভুল করে কিছু বলে ফেললে, সেটা অন্য রকম ভাবে উপস্থাপিত হতে পারে। সেটা আমাদের দলের বিপক্ষে যেতে পারে। দলের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। অধিনায়ক হিসাবে এমন কিছু হোক, চাই না আমি।’’
পাঁচ বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে হার্দিকের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে জিতেছেন চার বার। গত মরসুমে গুজরাতের অধিনায়ক হয়ে প্রথম বারই চ্যাম্পিয়ন করেছেন দলকে। তা নিয়ে হার্দিক বলেছেন, ‘‘আমি ভাগ্যবান। আগে চার বার চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলাম। গুজরাতের হয়ে জয়টা অনেকটা কেকের উপর চেরির মতো। তবে জয়টা সব সময় জয়-ই। অবশ্যই গতবারের জয়টাও আমার কাছে বিশেষ।’’
এক বার মজা করে হার্দিক বলেছিলেন, নেতৃত্ব তাঁর কাছে বিরক্তিকর। তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘ট্রফি তুলতে পারলে বিরক্তিকর কাজ করতে আপত্তি নেই।’’ নেতৃত্ব অপছন্দ কিনা জানতে চাওয়া হলে হার্দিক বলেছেন, ‘‘মোটেও না। আমার আপত্তি নেই। বিরক্তিকর কাজ করতে ভালবাসি। সব থেকে বিরক্তিকর কাজটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়। যেমন ফিটনেস ট্রেনিং। ট্রফি হাতে নিতে পারার কাজটা বিরক্তিকর হলে, কোনও আপত্তি নেই। কারণ ওটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।’’