সচিনের ৫০তম জন্মদিনের আগে এমনই অবাক করা তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন সেই দলের সতীর্থ হরভজন সিংহ। ছবি: পিটিআই
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে হৃদয় ভাঙলেও সেই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। কিন্তু গোটা প্রতিযোগিতা চলাকালীন এক বারও তিনি নেটে অনুশীলন করেননি। সচিনের ৫০তম জন্মদিনের আগে এমনই অবাক করা তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন সেই দলের সতীর্থ হরভজন সিংহ।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সচিন কত বড় প্রতিভা সেটা বোঝাতে একটা ছোট গল্পই বলতে পারি। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৩-এর গোটা বিশ্বকাপে এক বারের জন্যেও নেটে ব্যাট করেনি সচিন। সেই বিশ্বকাপে ভারতের বোলিং বিভাগ দারুণ খেলেছিল। কিন্তু জাভাগল শ্রীনাথ, আশিস নেহরা, জাহির খান, অনিল কুম্বলে বা আমি, কেউ এক বারও ওকে নেটে বোলিং করিনি।”
তা হলে কী ভাবে সচিন প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? হরভজন বলেছেন, “তখনকার দিনে আমাদের থ্রোডাউনের ব্যাপার ছিল না। শ্যামল নামে একজন ১৮ গজ দূর থেকে সচিনের দিকে বল ছুড়ে দিত। মাঝে মাঝে দূরত্ব কমে ১৬ গজ হত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সচিন থ্রোডাউন নিত। মনে মনে কল্পনা করে নিতে কোন বোলারের বিরুদ্ধে খেলছে। তখন এত কম্পিউটারে বিশ্লেষণও হত না। তা সত্ত্বেও সচিন জানত কী ভাবে বোলারদের সামলাতে হয়।”
সচিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হরভজন। জানালেন, মাঠে এবং মাঠের বাইরে সচিনের বিভিন্ন গল্প তাঁর স্মৃতির ভাণ্ডারে ঠাসা রয়েছে। বলেছেন, “পাজি (সচিন) নিখুঁত ক্রিকেটার নয়। কিন্তু নিখুঁতের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকবে ও-ই। ব্যক্তি হিসাবে সবার কাছে ও আদর্শ। কী ভাবে ঈশ্বরতুল্য হয়ে এবং গোটা দেশের নজরে থেকেও সারাজীবন সম্মানের সঙ্গে বাঁচা যায় তাঁর আদর্শ উদাহরণ।”