গৌতম গম্ভীর। — ফাইল চিত্র।
আইপিএল থেকে ভারতীয় দল পেয়েছে যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ড্য বা আরশদীপ সিংহের মতো ক্রিকেটারকে। কিন্তু দু’টি ফরম্যাটে ভারতীয় দলের ক্রিকেটার নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি আইপিএলের উপর নির্ভর করতে বারণ করলেন গৌতম গম্ভীর। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে হাজির হয়ে আরও কিছু বিষয়ে কথা বলেছেন কেকেআরের মেন্টর।
আইপিএলে ভরসা না রাখা
আশা করি, ভারতীয় দলে খেলার জন্য আইপিএল কোনও শর্টকাট নয়। ভারতীয় দলে খেলতে গেলে আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, তার পরে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে (বিজয় হজারে ট্রফি) ভাল খেলতে হবে। আইপিএল থেকে শুধু টি-টোয়েন্টির দল নির্বাচন করা যেতে পারে। ৫০ ওভার বা টেস্ট দল কোনও মতেই নয়। যদি ঘরোয়া ক্রিকেটারেরা আলোচনা করতে থাকে যে কী ভাবে আইপিএলে সুযোগ পাবে, তা হলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে ওদের নজর সরে গিয়ে সব আইপিএলে চলে যাবে। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বা টি-টোয়েন্টি দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেই আইপিএলের দিকে তাকানো উচিত। ৫০ ওভারের ক্ষেত্রে বিজয় হজারে এবং টেস্ট দলের ক্ষেত্রে রঞ্জি ট্রফির দিকে নজর দেওয়া উচিত।
এক দিনের ক্রিকেটে নিয়ম বদল
এক দিনের ক্রিকেটে নতুন বল সবচেয়ে খারাপ জিনিস। ভাবুন এক দিনের ক্রিকেটে কত জন অফস্পিনার খেলে! নেথান লায়ন ৪০০ উইকেট পেয়েছে। অশ্বিনের ৪০০ উইকেট রয়েছে। তারা কেউ এক দিনের দলে খেলে না। একমাত্র কারণ হল, অফ স্পিনারদের জন্য এক দিনের ক্রিকেটে কিছু নেই। ভাবুন, টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট নেওয়া এক জন ক্রিকেটার এক দিনের দলে খেলতে পারছে না। কারণ তাঁকে খেলিয়ে উইকেট নেওয়া যাবে না। রিভার্স সুইংও সাদা বলের ক্রিকেটে আর নেই। আমি আবার দেখতে চাই কোনও বোলার ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করেও রিভার্স সুইং করাচ্ছে।
শাহরুখের সঙ্গে প্রথম দেখা এবং বার্তা
২০১১ সালে কেকেআরে খেলতে আসার সময় প্রথম দেখা। সেই দিনটা এখনও মনে আছে। ও আমাকে বলেছিল, ‘দেখো, আমি চাই না কেউ আমাকে অভিনয়ের ব্যাপারে এটা-ওটা শেখাক। তেমনই তুমি নিশ্চয়ই চাও না কেউ তোমাকে ক্রিকেট খেলাটা শেখাক।’ আমি বললাম, ‘অবশ্যই’। সেটাই আমাদের একমাত্র কথাবার্তা। তার পরে অনেক বার দেখা হয়েছে। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি কথাবার্তা হয়নি। আগেও বলেছি, আমার দেখা সেরা মালিক এসআরকে। কেকেআরে ফিরে এসেছি বলে এ কথা বলছি না। আমার সাত বছরের অধিনায়কত্বে ৭০ সেকেন্ডের জন্যও শাহরুখের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কথা হয়নি। আমাকেও ও ক্রিকেট নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। ভাবা যায়?
কেন তিনি হাসেন না?
মাঝেমাঝেই আমি শুনি মানুষ বলছে, আমি হাসি না। কাউকে ভালবাসি না। মেজাজ নিয়ে থাকি। বুড়ো হয়ে গিয়েছি। সব সময় মাথায় নাকি খেলা ঘুরতে থাকে। আসল ব্যাপারটা হল, লোকে মাঠে আমার হাসি দেখতে আসে না। লোকে আমাকে জিততে দেখতে আসে। এটাই এই পেশার আসল জিনিস। সবাইকে সন্তুষ্ট করা কাজ নয়। সেই চেষ্টাও করি না। আমি চাই না সবাই জেনে যাক যে, আমি কী রকম মানুষ। যাদের কথা আমি সত্যি করে ভাবি, তারা জানে আমি কী রকম মানুষ, আমার মাথার মধ্যে কী চলে, আমি আবেগপ্রবণ কি না বা আমি কখনও বিষয়ে বড্ড বেশি চিন্তা করি না। কারা আমার ব্যাপারে কী কথা বলছে সেটা নিয়ে ভাবি না।