তৃপ্ত: নাইটদের ডাগআউটে বসে ফের জয় দেখলেন গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু মানেই চর্চার কেন্দ্রে থাকে দু’টি নাম। গৌতম গম্ভীর বনাম বিরাট কোহলি। প্রথম জন এখন কেকেআর-এর মেন্টর। দ্বিতীয় জন আরসিবির একমেবাদ্বিতীয়ম নায়ক। গত মরসুমে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর ছিলেন গম্ভীর। নবীন-উল-হক-কে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গম্ভীর ও কোহলি। কিন্তু শুক্রবার অন্য এক দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন দর্শকরা।
বেঙ্গালুরুর ব্যাটিংয়ে স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটে কোহলি ও গম্ভীর দু’জনে পরস্পরকে হাসিমুখে জড়িয়ে ধরেন। মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি। ধারাভাষ্যের ফাঁকে যা নিয়ে রবি শাস্ত্রী বলেন, “এই দৃশ্য নিঃসন্দেহে ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড পাবে।” প্রত্যুত্তরে সুনীল গাওস্কর রসিকতার সুরে বলেন, “এই দৃশ্য শুধু ফেয়ার প্লে নয়, অস্কার পাওয়ার যোগ্য।”
বিরাট-গম্ভীরের রসায়ন বদলালেও বদল ঘটল না চিন্নাস্বামীতে আরসিবির বিরুদ্ধে কেকেআর-এর একচেটিয়া আধিপত্যের। পরপর ছ’বার বিরাট-দুর্গে শেষ হাসি হাসলেন সুনীল নারাইনরা। এ দিন তিনি টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০০তম ম্যাচ খেলেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে স্মরণীয়ও করে রাখলেন। বলেন, “দারুণ অনুভূতি। এখানেই না থেমে আরও ৫০০ ম্যাচ খেলতে চাই।” ২২ বলে ৪৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস নিয়ে বলেন, “নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস ছিল। শুধু তাই নয়, কেকেআরের সহকারী স্টাফরাও আমাকে প্রতি মুহূর্তে সাহস জুগিয়েছে।”
কেকেআরের হয়ে অর্ধ শতরান করেছেন বেঙ্কটেশ আয়ার। ব্যাট করার সময় পিঠে হালকা চোট পান। তাঁর কথায়, “স্ক্যান করার পরে বিস্তারিত জানতে পারব। সুনীলের আক্রমণাত্মক ইনিংস আমার উপর থেকে চাপ কমিয়ে দিয়েছে।” আরও বলেন, “ আমার বাগদত্তা মাঠে উপস্থিত ছিল। তাই এ দিন আমার কাছে বিশেষ ধরনের।” অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার বলেন, “এত দিন বিশ্রাম পেয়ে আমরা আরও ফুরফুরে মেজাজে নেমেছি।” বোলিং নিয়ে বলেন, “রাসেল দেখিয়েছে বেঙ্গালুরুর পিচে ধীর গতির বল কার্যকরী হয়। বাকিরা ওর পরিকল্পনা অনুসরণ করে।”
ম্যাচের আগে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিয়োতে গম্ভীর বলেছেন, “একটা দল, যাদের আমি স্বপ্নেও হারাতে চাইতাম, তারা হল আরসিবি।” কারণটা কী? গম্ভীরের জবাব, “ওরা সম্ভবত আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চমানের দল। একটা সময় ওদের দলে ক্রিস গেল, এ বি ডিভিলিয়ার্সের মতো বিধ্বংসী ক্রিকেটার খেলে গিয়েছে। একবারও ট্রফি না পেলেও এমন ভাব করত, যেন সবকিছু জিতে গিয়েছে। এই
হাবভাব মেনে নিতে পারিনি। যদি আবার কেরিয়ারে কিছু করতে পারতাম, সেটা মাঠে ফিরে বেঙ্গালুরুকে হারানো।”