মুগ্ধ: সঞ্জুর ব্যাটিং নজর কেড়েছে প্রাক্তন কোচের। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সঞ্জু স্যামসনকে দেখতে চান রবি শাস্ত্রী। তাঁর মতে ঋষভ পন্থ এক নম্বর কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরছেন এ নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। দ্বিতীয় কিপার হিসেবে সঞ্জুর কথাই ভাবা উচিত।
শুধু তাই নয়, সঞ্জুকে সাদা বলে ভবিষ্যতের ভারত অধিনায়ক হিসেবেও চিহ্নিত করছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘরে দাঁড়িয়ে এ-ও বলে দিলেন, আশা করছেন সঞ্জু এবং রিঙ্কু— তাঁর প্রিয় দুই তরুণ ক্রিকেটারই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকাগামী উড়ানে জায়গা পাবেন।
আইপিএল ২০২৪-এ এই প্রথম ইডেনে কোনও ম্যাচে ধারাভাষ্য দিতে এলেন। ম্যাচ শুরুর আগে রিঙ্কু সিংহের সঙ্গে আলাদা করে কথা বললেন শাস্ত্রী। তাঁকে বললেন, ‘‘দারুণ খেলছ। অবিশ্বাস্য সব শট রয়েছে হাতে। চালিয়ে যাও।’’ আরও দু’তিন জন তরুণ ক্রিকেটারকে পরামর্শ দিলেন। ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে বিরতিতে বলছিলেন, ‘‘অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে রিঙ্কু। আমি নির্বাচক নই যে, বিশ্বকাপের দল বাছব। ওদের কাজে নাক গলাতেও চাই না। তবে রিঙ্কুকে অবশ্যই দেখতে চাই বিশ্বকাপের দলে।’’ রিঙ্কু যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে ভালই রয়েছেন, তা শুক্রবার আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়েছে। কারও মনে হচ্ছে, নাইটরা নিয়মিত ভাবে আর একটু উপরের দিকে ব্যাট করালে, আরও বেশি বল খেলার সুযোগ দিলে রিঙ্কু দাবি হয়তো আরও জোরালো করতে পারতেন।
শাস্ত্রী সব চেয়ে প্রভাবিত সঞ্জু স্যামসনের অধিনায়কত্ব দেখে। ‘‘এত ঠান্ডা মাথা অনেক দিন পরে আবার কারও মধ্যে দেখলাম। দেখে মনে হয়, ম্যাচের উপরে সব সময় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে,’’ বলে শাস্ত্রীয় বচন, ‘‘সঞ্জুর দিকে খেয়াল রাখুন। সাদা বলে ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে ভাবা উচিত ওকে।’’ এক নিঃশ্বাসে এ-ও বলে দিচ্ছেন, ঋষভ পন্থ যদি প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে খেলেন, তার পরেও সঞ্জুকে প্রথম একাদশে রাখা যেতে পারে। তিনি ওপেনিং বা তিন নম্বরে নামতে পারেন।
সঞ্জুর নেতৃত্বে রাজস্থান রয়্যালস এই আইপিএলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ব্যাট হাতেও তিনি বেশ সফল। এখনও পর্যন্ত ৮ ইনিংসে ৩১৪ রান করে সর্বোচ্চ রান স্কোরারদের তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে আছেন। গড় ৬২.৮০। স্ট্রাইক রেট ১৫২.৪২।
হার্দিক পাণ্ড্য এই মুহূর্তে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক হিসেবে বেশ চাপে। বার বার ধিক্কৃত হচ্ছেন। তবু নির্বাচকেরা হয়তো তাঁকে বিশ্বকাপের দলে রাখবেন যে- হেতু অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁর যোগ্য বিকল্প তেমন কেউ নেই। তা হলে কি অধিনায়ক হার্দিকের উপরেও আপনিও আস্থা হারালেন? শাস্ত্রীর জবাব, ‘‘আমি তা বলছি না। তবে হার্দিকের বারবার চোট পাওয়া কিছুটা হলেও সংশয় তৈরি করছে। অধিনায়ক এমন কাউকে বানাতে হবে যে নিয়মিত ভাবে খেলবে। এই আইপিএলে সঞ্জু যে রকম নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাতে ওর কথা ভাবাই যায়।’’
এই আইপিএলেও বেশ কিছু তরুণ মুখ উঠে এসেছে। বরাবর তারুণ্যে জোর দেওয়া শাস্ত্রী যা দেখে উত্তেজিত। তার মধ্যেই এক প্রবীণকে নিয়ে যেন মুগ্ধতার শেষ নেই। ‘‘জাদুকর। অবিশ্বাস্য!’’ বলে উঠলেন তিনি। কাকে নিয়ে? আর কয়েক দিনে যিনি ৪৩-এ পা দেবেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।