আইপিএল তরুণ প্রতিভা তুলে আনার মঞ্চ। প্রতি বছরই কিছু ক্রিকেটার নজর কাড়েন। তাঁরা কেউ রাজ্য দলের হয়ে ভাল খেলার পরে সুযোগ পান কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। আবার কাউকে শিবির থেকে তুলে আনা হয়। তরুণ বয়সেই নিজেদের প্রতিভার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাল্লা দেন তাঁরা।
হার্দিক পাণ্ড্য, ঈশান কিশন, যশপ্রীত বুমরা থেকে শুরু করে হালের বেঙ্কটেশ আয়ার, আইপিএল থেকেই প্রথম নজর কাড়েন। জাতীয় দলে চুটিয়ে খেলছেন তাঁরা। এ বারেও সে রকম কিছু তরুণ ভারতীয় বোলার উঠে এসেছেন, যাঁরা নজর কাড়ছেন।
এ বারের নিলামে ২০ লক্ষ টাকায় বাংলার আকাশ দীপকে কিনেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথম ম্যাচ থেকেই প্রথম একাদশে খেলছেন তিনি। তিন ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছেন। তার মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নেন এই বোলার।
আকাশ দীপের প্রশংসা শোনা গিয়েছে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি ও প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলীর মুখে। প্রতি মুহূর্তে শেখার চেষ্টা করেন এই ডান হাতি জোরে বোলার। পরিশ্রম করতে পারেন। আগামী দিনে তিনি দলের বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন।
পঞ্জাব কিংসের তৃতীয় ম্যাচে অভিষেক হয় বৈভব অরোরার। প্রথম ম্যাচেই চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দু’উইকেট নেন তিনি। তাঁর বলের সামনে অভিজ্ঞ ব্যাটারদেরও খেলতে সমস্যা হচ্ছিল।
এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ছিলেন বৈভব। কিন্তু খেলার সুযোগ হয়নি। এ বার নিলামে তাঁকে ২ কোটি টাকায় কেনে পঞ্জাব। আর অভিষেকেই নজর কাড়েন তিনি।
গত বছর শুধু তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন। তাতেই তাঁকে ৪ কোটি টাকা দিয়ে ধরে রাখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এ বার প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলছেন উমরান মালিক। জম্মু-কাশ্মীরের এই বোলারকে ভবিষ্যতের তারকা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এক ওভারে পর পর পাঁচটি বল ১৫০ কিলেমিটারের বেশি গতিবেগে করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন উমরান। গতানুগতিক জোরে বোলারদের মতো শারীরিক গঠন না থাকলেও প্রচণ্ড গতিতে বল করতে পারেন তিনি।
গত তিন বছর ধরে পঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলছেন তিনি। প্রতি বছর ভাল বল করে প্রথম একাদশে জায়গা পাকা করেছেন ২০১৮ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অনূর্দ্ধ-১৯ দলের পেসার অর্শদীপ সিংহ। এ বারেও ভাল বল করছেন তিনি।
অর্শদীপের প্রধান শক্তি তাঁর বোলিং বৈচিত্র। গতির হেরফের করতে পারেন। ভাল অফ কাটার করতে পারেন। বিশেষ করে ডেথ ওভারে অর্শদীপ পঞ্জাবের সেরা অস্ত্র।
গত দু’বছর দিল্লি ক্যাপিটালসে ছিলেন। কিন্তু বেশি সুযোগ পাননি। এ বার ২০ লক্ষ টাকায় তুষার দেশপাণ্ডেকে কিনেছে চেন্নাই সুপার কিংস। সুযোগ পেয়েছেন প্রথন একাদশে। পাওয়ার প্লে-র সঙ্গে সঙ্গে ডেথ ওভারেও বল করতে পারেন তুষার।
দীপক চাহার এখনও সুস্থ হয়ে মাঠে না ফেরায় চেন্নাইয়ের দেশীয় জোরে বোলারদের মধ্যে সুযোগ পাচ্ছেন তুষার। তবে যদি তিনি ভাল বল করতে পারেন তা হলে পাকাপাকি ভাবে প্রথম একাদশের সদস্য হতে পারেন।
সবে আইপিএল শুরু হয়েছে। এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। আরও অনেক তরুণ ভারতীয় বোলার বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছেন। আগামী দিনে ভাল খেলে তাঁরাও নজর কাড়তে পারেন। আর সে ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি উপকার হবে ভারতীয় ক্রিকেটেরই।