শনিবার উৎসবমুখর চিন্নাস্বামীর রাত দেখে অভিভূত আরসিবি অধিনায়ক। ছবি: পিটিআই।
শনিবার যেন শাপমোচন হল যশ দয়ালের। গত আইপিএলে কেকেআরের রিঙ্কু সিংহের টানা পাঁচ ছক্কার অলৌকিক ইনিংসের রাতে তিনিও তো হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজেকে। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের ২৬ বছরের বাঁ হাতি জোরে বোলার।
চিন্নাস্বামীতে যেন পুনর্জন্ম হল দয়ালের। শেষ ওভারে তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। অধিনায়ককে হতাশ করেননি তিনি। প্লে-অফ নিশ্চিত করতে সিএসকে-র শেষ ওভারে ২৭ রানের প্রয়োজন ছিল। যশ তুলে নিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। তার পরেই শেষ হয়ে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন।
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন ডুপ্লেসি। আরসিবি অধিনায়ক সেই সম্মান উৎসর্গ করেন দয়ালকে। তিনি বলেন, ‘‘ওকে বলেছিলাম এই পিচে বলের গতি খুব বাড়ানোর দরকার নেই। ও অসাধারণ দক্ষতায় সেই কাজটা করে দিয়ে গেল। খুব আনন্দ পেয়েছি ওর বোলিং দেখে।’’
শনিবার উৎসবমুখর চিন্নাস্বামীর রাত দেখে অভিভূত আরসিবি অধিনায়ক। বলেছেন, ‘‘ঘরের মাঠে প্লে-অফ নিশ্চিত করে মরসুম শেষ করতে পারলাম। এর চেয়ে আনন্দের আর কী থাকতে পারে। ম্যাচের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। উইকেটে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যাক, এটা আমরা মোটেও চাইনি। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা দারুণ ভাবে নিজেদের কাজটা করায় আমরা বড় রান তুলতে পেরেছি।’’ ডুপ্লেসি যোগ করেন, ‘‘আমরা যখন হারছিলাম, সেই সময়ও দেখেছি গ্যালারি ভর্তি সমর্থকরা আমাদের নামে উচ্ছ্বাস করছে। তাঁদের সঙ্গে জয়ের আনন্দটা ভাগ করে নিয়ে তৃপ্তি অনুভব করছি।’’
গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিদায়। শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসকে ২৭ রানে হারিয়ে অলৌকিক জয় ছিনিয়ে নিল বিরাট কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেল বিরাট কোহলিদের।
ম্যাচের পরে হতাশ সিএসকে অধিনায়ক ঋতুরাজ জানিয়ে যান, এই মরসুমে চোটই তাঁদের পথে কাঁটা হয়ে গেল। তিনি বলেছেন, ‘‘১৪ ম্যাচে সাত জয়। সেই অর্থে সার্বিক পারফরম্যান্স খুব খারাপ নয়। তবে আমাদের বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে চোটের জন্য। আইপিএল শুরুর আগেই চোটের জন্য ছিটকে গেল ডেভন কনওয়ে। ফলে প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে।’’ আরও বলেন, ‘‘পাথিরানা হঠাৎ করে চোট পেয়ে গেল। পুরো সময়ের জন্য পেলাম না মুস্তাফিজ়ুর রহমানকে। দলের ভারসাম্য বজায় রাখাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল আমাদের কাছে। প্রথম মরসুমে অধিনায়ক হয়ে এই অভিজ্ঞতা সুখের হল না।’’
চিন্নাস্বামীর পিচ কেমন ছিল? ঋতুরাজ বলে যান, ‘‘উইকেট খুব ভাল ছিল স্পিনারদের জন্য। বল পড়ে ভাল ঘুরেছে। যে লক্ষ্যটা ছিল, সেটাও খুব কঠিন ছিল না। আমরা চেষ্টা করেও জিততে পারিনি। দিনের শেষে জয়ই শেষ কথা বলে। আমরা ব্যর্থ।’’