দীনেশ কার্তিক। ছবি: আইপিএল।
আইপিএল খেলে অবসর নেওয়ার কথা বলেছিলেন। আইপিএলের মাঝে এসে লক্ষ্য বদলে ফেলেছেন দীনেশ কার্তিক। এখন তাঁর লক্ষ্য আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলা। তিনি আস্থা রাখছেন জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের উপর।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর দেশের হয়ে খেলেননি। নিয়মিত ধারাভাষ্যকার হিসাবে দেখা যাচ্ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক কার্তিককে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে এ বারে আইপিএল খেলে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তিনি। অথচ প্রতিযোগিতার মাঝে অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জানিয়েদিলেন, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার জন্য তিনি ১০০ শতাংশ প্রস্তুত।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে কার্তিকের আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘শাবাশ ডিকে! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় ওর কথা তুলতেই হবে। মনে হচ্ছে ওর মাথায় বিশ্বকাপ ঘুরছে।’’ ২৩ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত সেই ইনিংসের পর আবার আলোচনায় উঠে এসেছেন কার্তিক। ৩৮ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার তার পর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলেছেন ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস। প্রতিযোগিতায় ২০৫.৪৫ স্ট্রাইক রেটে এখনও পর্যন্ত করেছেন ২২৬ রান।
বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেছেন, ‘‘এই বয়সে আবার ভারতের হয়ে খেলার সুযোগের থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। অবশ্যই আমি দেশের হয়ে খেলতে আগ্রহী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার থেকে বড় আমার জীবনে কিছু হতে পারে না।’’ কার্তিক জানেন লড়াই কঠিন। ঋষভ পন্থ, লোকেশ রাহুল, সঞ্জু স্যামসন, ঈশান কিশনের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে দলে জায়গা পাওয়ার জন্য। তবু আশাবাদী কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক। কার্তিক বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের জন্য ভারতের সেরা দল বেছে নেওয়ার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে অত্যন্ত সততার সঙ্গে কাজ করেন। অধিনায়ক রোহিত, কোচ দ্রাবিড় বা প্রধান নির্বাচক আগরকরের উপর আমার আস্থা রয়েছে। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নেব। আমি শুধু বলতে পারি, দেশের হয়ে খেলার জন্য আমি সব সময় ১০০ শতাংশ তৈরি। বিশ্বকাপের বিমানে উঠব কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাঁদের।’’
২০২২ সালের আইপিএলে অনবদ্য পারফরম্যান্স করার পুরস্কার হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছিলেন কার্তিক। কিন্তু চারটি ম্যাচ খেলে ১৪ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। বাকি ম্যাচগুলি খেলেছিলেন পন্থ।