মারমুখী মেজাজে অভিষেক পোড়েল। ছবি: আইপিএল।
শুরুটা ভাল করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেন জেক ফ্রেজ়ার-ম্যাকগুর্ক ও বাংলার অভিষেক পোড়েল। মাঝে পর পর উইকেট পড়ায় রানের গতি কমে যায়। শেষ দিকে হাত খুললেন ট্রিস্টান স্টাবস ও গুলবদিন নইব। এই চার ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করল দিল্লি।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু শুরুটা ভাল করতে পারেননি ট্রেন্ট বোল্ট, সন্দীপ শর্মারা। প্রথম বল থেকে মারমুখী মেজাজে ছিলেন ফ্রেজ়ার। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে একের পর এক বড় শট মারছিলেন তিনি। ফ্রেজ়ার বড় শট খেলায় ধীরে খেলছিলেন অভিষেক। মাত্র ১৯ বলে ৫০ রান করেন ফ্রেজ়ার। যদিও তার পরের বলেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ফুলটস মারতে না পেরে আউট হয়ে যান তিনি।
অস্ট্রেলীয় ব্যাটার আউট হওয়ার পরে হাত খোলেন অভিষেক। চলতি মরসুমে প্রতিটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সেই সুযোগ কাজে লাগান বাংলার ব্যাটার। আবেশ খানকে নিশানা করেন তিনি। ২ ওভারে ৪২ রান দেন আবেশ। ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন অভিষেক। তাঁকেও ফেরান সেই অশ্বিন। ৩৬ বলে ৬৫ রান করেন অভিষেক।
দুই ওপেনার রান করলেও সমস্যায় পড়েন মিডল অর্ডার ব্যাটারেরা। শাই হোপ (১), অক্ষর পটেল (১৫) ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (১৫) রান পাননি। অশ্বিন ভাল বল করেন। ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, ২০০ রান হবে না দিল্লির। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন স্টাবস ও নইব। আফগান ক্রিকেটার আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ১৯ রান করেন। শেষ দুই ওভারকে নিশানা করেন স্টাবস।
এই ম্যাচেও খারাপ বল করেন যুজবেন্দ্র চহাল। পন্থকে আউট করলেও ৪৮ রান দেন তিনি। বোল্টও দেন ৪৮ রান। মার খান সন্দীপও। তার ফলে দিল্লিকে ২০০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারেনি রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত ২২১ রানে শেষ হয় দিল্লির ইনিংস। স্টাবস ২০ বলে ৪১ রান করে আউট হন।