ঋষভ পন্থ। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রবিবার ওপেন করলেন পৃথ্বী শ। এ বারের আইপিএলে প্রথম বার খেলতে দেখা গেল তাঁকে। পৃথ্বী এবং ডেভিড ওয়ার্নার মিলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শুরুটা খারাপ করেননি। কিন্তু মাঝের দিকে মাথিসা পাথিরানার দাপটে আটকে যায় দিল্লি। বিশাখাপত্তনমের মাঠে ঋষভ পন্থের অর্ধশতরানে ভর করে দিল্লি তুলল ১৯১ রান।
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন পন্থ। এ বারের আইপিএলেই মাঠে ফিরলেন তিনি। দিল্লির অধিনায়ক প্রথম দু’টি ম্যাচে খুব বেশি রান করতে পারেননি। ফর্ম ফিরে পেতে সময় লাগছিল তাঁর। তবে তৃতীয় ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি এখনও আগের মতোই সাবলীল। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৩২ বলে ৫১ রান করেন পন্থ। তিনটি ছক্কা এবং চারটি চার মারেন তিনি। পাথিরানাকে যে ভাবে ১৯তম ওভারে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাচ্ছিলেন, তাতে আগামী দিনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে পন্থকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার থাকবে না।
পৃথ্বী ২৭ বলে ৪৩ রান করেন। ওয়ার্নার করেন ৩৫ বলে ৫২ রান। তাঁরা ৯৩ রানের জুটি গড়েন। ওভারে ১০ রান করে তুলছিলেন তাঁরা। কিন্তু পর পর দু'ওভারে দুই ওপেনার আউট হয়ে যান। সেই সঙ্গে রানের গতিও ধাক্কা খায়। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার পেসার পাথিরানা নজর কাড়েন। তাঁর গতি এবং নিখুঁত ইয়র্কার সামলাতে গিয়ে হিমশিম খান দিল্লির ব্যাটারেরা। মিচেল মার্শ (১৮) এবং ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকে (০) বোল্ড করেন তিনি।
চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম উইকেটটি নেন মুস্তাফিজুর রহমান। শুরুতে তাঁকে বল করানো হয়নি। চেন্নাইয়ের হয়ে নতুন বলে শুরু করেছিলেন দীপক চাহার এবং তুষার দেশপাণ্ডে। চাহার তাঁর ৪ ওভারে ৪২ রান দেন। তুষার দেন ২৪ রান। তাঁরা কেউই কোনও উইকেট পাননি। তবে ওয়ার্নারের আউট ক্ষেত্রে মুস্তাফিজুরের থেকেও বেশি কৃতিত্ব পাথিরানার। তিনি যে ভাবে লাফিয়ে এক হাতে ক্যাচ নিলেন তাতে অবাক হয়ে যান মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
ম্যাচে পাথিরানা তিনটি উইকেট নেন। পন্থকে আউট করেন তিনিই। অফ স্টাম্পের বাইরের বল লং অফের উপর দিয়ে মারতে গিয়েছিলেন পন্থ। কিন্তু ধরা পড়ে যান রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে। ৫১ রানে থেমে যায় পন্থের ইনিংস। চেন্নাইয়ের সামনে ১৯২ রানের লক্ষ্য রাখল দিল্লি।