বয়স বাড়লেও উইকেটের পিছনে ধোনির ক্ষিপ্রতা কমেনি। ছবি: আইপিএল।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নজর এড়িয়ে উইকেটে থাকতে পারলেন না সূর্যকুমার যাদব। ১ রান করেই তাঁকে ফিরে যেতে হল সাজঘরে। লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়া মিচেল স্যান্টনারের বলে সুইপ করতে যান সূর্য। কিন্তু তাঁর ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। তবু বল ধরেই ক্যাচ আউটের আবেদন করেন ধোনি। গুরুত্ব না দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওয়াইড বল ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ততোধিক দ্রুততার সঙ্গে রিভিউ চান ধোনি। রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার জানিয়ে দেন বল সূর্যকুমারের দস্তানায় স্পর্শ করে ধোনির দস্তানায় জমা পড়েছে। সুতরাং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটার আউট।
মুম্বইয়ের ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলের ঘটনা। বল সূর্যর গ্লাভসে লাগায় তেমন কোনও শব্দ হয়নি। কিন্তু বলের উপর নজর ছিল উইকেটরক্ষক ধোনির। বলের সিম লাইন পরিবর্তন হতেই তিনি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন। স্বভাবতই আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নিতে এক সেকেন্ডও সময় নষ্ট করেননি। টেলিভিশন চ্যানেলে টাইমার আসার আগেই রিভিউয়ের আবেদন করেন আত্মবিশ্বাসী ধোনি। তখনও বিষয়টা বুঝতেই পারেননি তাঁর সতীর্থরা। বুঝতে পারেননি বোলার নিজেও।
৪১ বছর বয়সেও ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক উইকেটের পিছনে সর্বক্ষণ সতর্ক। রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সিদ্ধান্ত প্রায় সব সময়ই সঠিক প্রমাণিত হয়। অথচ ভারতের তরুণ উইকেটরক্ষকরা রিভিউ নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধায় ভোগেন। ঋষভ পন্থ বা শ্রীকর ভরতদের দেখা যায় সংশয়ে ভুগতে। আবার অনেক সময় ভুল রিভিউও নেন। যা নিয়ে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে উইকেটরক্ষকের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা, ধোনিকে দেখেই বোঝা যায়। ০.০২ সেকেন্ডে স্টাম্প আউট করার বিশ্বরেকর্ড এখনও ধোনির দখলে। শনিবার আইপিএলের ম্যাচে বুঝিয়ে দিলেন, বয়স বাড়লেও ক্ষিপ্রতা কমেনি একটুও।