—ফাইল চিত্র।
ক্যাচ ফস্কালে, ম্যাচও ফস্কাতে হয়। ক্রিকেটে এমনটাই বলা হয়। আইপিএলের ফাইনালে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই তেমনটা হতে পারত চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে। শুভমন গিলের ক্যাচ ফেলেছিলেন দীপক চাহার। তিনি পরে নিজের বলেও ক্যাচ ফেলেন। রান আউটের সুযোগও ফস্কায় চেন্নাই। গলিয়ে ফেলে চারও। ফাইনালে চেন্নাইয়ের ফিল্ডিং চিন্তার কারণ ধোনির কাছে।
ফাইনালে দ্বিতীয় ওভারে বল করছিলেন তুষার দেশপাণ্ডে। তাঁর চতুর্থ বলে শুভমন স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দেন। কিন্তু তা ধরতেই পারলেন না চাহার। হাতের মধ্যে থাকা ক্যাচ ফেলে দিলেন তিনি। ওই ধরনের লোপ্পা ক্যাচ পাড়ার ক্রিকেটে ফেলাও অপরাধ। শুভমনের তখন মাত্র ৩ রান। সেই চাহার নিজের বলেও ক্যাচ ফেলেন। পঞ্চম ওভারে বল করছিলেন তিনি। প্রথম বলেই ঋদ্ধিমান সাহা ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু হাতে লাগিয়েও বল তালুবন্দি করতে পারেননি।
শুধু ক্যাচ ফস্কানো নয়, রান আউটও করতে পারেনি চেন্নাই। সপ্তম ওভারে রবীন্দ্র জাডেজা বল করার সময় রান আউটের সুযোগ এসেছিল। কিন্তু বল ধরার আগেই উইকেট হাত দিয়ে ভেঙে দেন জাডেজা। তাঁর হাতে বল থাকলে শুভমন আউট হয়ে যেতেন। রান গলান ডেভন কনওয়ে। তাঁর দিকে শট মেরেছিলেন শুভমন। কিন্তু তা ধরতে পারেননি কনওয়ে। বল বাউন্ডারিতে চলে যায়।
শুভমন সুযোগ পেলেও ফাইনালে ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি। কিন্তু তাঁর মারা সাতটি চার দেখে বোঝা যাচ্ছিল বড় রানের খিদে নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির তৎপরতায় স্টাম্পড হন শুভমন। তাই বড় রান করা হয়নি শুভমনের। ঋদ্ধি সুযোগ পেয়ে ৫৪ রান করেন। গুজরাতের বড় জমি তৈরি করে দিয়ে যান ঋদ্ধি।