বৃহস্পতিবারের কলকাতা-বেঙ্গালুরুর ম্যাচের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। ছবি: পিটিআই
কলকাতা নাইট রাইডার্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে খবর করতে গেলে বাধা দেওয়া হয় আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিনিধিকে।
২০১৯ সালের এপ্রিলের পর ২০২৩ সালের এপ্রিল। প্রায় চার বছর পর ইডেনে খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথমত, দীর্ঘ দিনের ব্যবধান। দ্বিতীয়ত, বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ বিরাট কোহলিদের বেঙ্গালুরু। স্বাভাবিক ভাবেই কেকেআর-আরসিবি ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের উৎসাহ তুঙ্গে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টিকিটের চাহিদা। খেলার শুরুর সময় যত এগিয়ে আসছে, তত বাড়ছে টিকিটের চাহিদা।
ইডেনের ৬৮ হাজারের গ্যালারি ভর্তি হওয়া নিয়ে সংশয় নেই। তবে প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে ভর্তি হচ্ছে গ্যালারি? বুধবার ইডেনের আশপাশে বা ময়দানের আনাচেকানাচে কান পাতলেই শোনা গিয়েছে টিকিটের কালোবাজারির কথা। ৭৫০ টাকার টিকিটের দাম কেউ চাইছেন ১৫০০ টাকা, কেউ আবার ২৫০০ টাকা। ১০০০ টাকার টিকিটের দাম পৌঁছেছে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত। যে যেমন পারছেন, সুযোগ বুঝে চাইছেন। ইডেনের সামনেও ভিড় কালোবাজারিদের। টিকিটের সন্ধানে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা। প্রকাশ্যেই চলছে বৃহস্পতিবারের ম্যাচের টিকিট নিয়ে দরদাম।
প্রকাশ্যে কালোবাজারি নিয়ে খবর করতে যাওয়া আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিনিধিকেও বাধা পেতে হল। যদিও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে টিকিটের কালোবাজারির ছবি। টিকিট বিক্রি করে কত লাভ থাকে? এক বিক্রেতার দাবি, টিকিটপ্রতি তাঁদের থাকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। তা হলে বাকি টাকা যায় কোথায়? এই প্রশ্নের সদুত্তর দেননি ওই বিক্রেতা। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই বৃহস্পতিবারের ম্যাচের টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছিল অনলাইনে।