আইপিএলের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে দুরন্ত সব ক্যাচ। শরীর ছুড়ে, শূন্যে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরছেন ফিল্ডাররা। তার মধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্যাচ নজর কেড়েছে। সেই তালিকায় যেমন ভারতীয়রা রয়েছেন তেমনই রয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটার। দেখে নেওয়া যাক এ বারের আইপিএলের প্রথম ২২ ম্যাচে অন্যতম সেরা পাঁচ ক্যাচ।
চেন্নাই সুপার কিংসের অম্বাতি রায়ডুর বয়স ৩৬ হলেও ক্ষিপ্রতা কমেনি একটুও। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে দুরন্ত ক্যাচ ধরেছেন রায়ডু। তাঁর ক্যাচ দেখে অবাক সিএসকে-র অধিনায়ক রবীন্দ্র জাডেজাও।
বেঙ্গালুরুর ইনিংসের ১৬তম ওভারে জাডেজার বল আকাশ দীপের ব্যাটে লেগে শর্ট কভার অঞ্চলে যায়। শূন্যে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করেন তিনি। মাটিতে পড়ার অভিঘাতেও বল হাতছাড়া হয়নি।
এই তালিকায় রয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কুলদীপ যাদব। কলকাতায় থাকার সময় গত কয়েক মরসুম বেঞ্চেই বসে থাকত হত এই স্পিনারকে। তবে এ বার দিল্লির হয়ে প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলছেন। বল হাতে উইকেট তোলার পাশাপাশি ক্যাচেও নজর কেড়েছেন কুলদীপ।
কুলদীপের বলে বড় শট মারতে যান কেকেআর-এর উমেশ যাদব। কিন্তু ব্যাটের উপরে লাগায় ক্যাচ ওঠে। কুলদীপ বুঝতে পারেন যেখানে বল পড়বে সেখানে কোনও ফিল্ডার নেই। তাই তিনি নিজেই দৌড়ে গিয়ে সেই ক্যাচ ধরেন। ক্যাচ ধরার পরে কুলদীপের উল্লাস বুঝিয়ে দিচ্ছিল তিনি কতটা খুশি হয়েছেন।
তালিকায় রয়েছেন আর এক প্রাক্তন নাইট রাহুল ত্রিপাঠি। এই মরসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলছেন তিনি। ভাল ব্যাট করার পাশাপাশি ভাল ফিল্ডার হিসাবেও নাম কিনেছেন তিনি।
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন রাহুল। গত মরসুমে তাঁরই সতীর্থ শুভমন গিলের ব্যাটে লেগে কভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারির দিকে যাওয়া বল ছোঁ মেরে তালুবন্দি করেন তিনি। তাঁর ক্যাচ দেখে অবাক হয়ে যান শুভমনও।
শুভমনও লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দুরন্ত ক্যাচ ধরেছেন। ভাল ফিল্ডার হিসাবে তিনি বরাবর পরিচিত। কিন্তু সেই ক্যাচের পরে তাঁর উচ্চতা আরও খানিকটা বেড়েছে।
বরুণ অ্যারনের বলে বড় শট মারার চেষ্টা করেন এভিন লুইস। কিন্তু বল ঠিক মতো ব্যাটে লাগেনি। পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে ডিপ মিড উইকেট অঞ্চলে ক্যাচ ধরেন শুভমন।
তালিকায় এক মাত্র বিদেশি লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনি বিধ্বংসী ব্যাটার হিসাবে পরিচিত হলেও স্পিন বলটা ভালই করেন। আর চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নিজের বোলিংয়ে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার।
লিভিংস্টোনের বল ডোয়েন ব্র্যাভোর ব্যাটে লেগে বোলারের বাঁ দিক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বল মাটিতে পড়ার আগেই বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরে নেন লিভিংস্টোন। তাঁর ক্যাচ দেখে হতবাক হয়ে যান ব্র্যাভো নিজেও।