অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। ছবি: এক্স।
গত বছরের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনেছিল তাঁকে। সেই অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে দ্বিতীয় ম্যাচেই নামিয়ে দিল গৌতম গম্ভীরের দল। শুক্রবার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে রঘুবংশীর হাতে টুপি তুলে দেওয়া হয়। তবে টসে জিতে কলকাতা আগে বোলিং নেওয়ায় কলকাতার প্রথম একাদশে তাঁর নাম ছিল না। ব্যাটিংয়ের সময় ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসাবে নামেন তিনি। ছেলের অভিষেকের খবর জানতেন না বাবা অবনীশ। প্রথম জানলেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছ থেকে।
টসের আগেই আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বাবা অবনীশের সঙ্গে। তিনি বললেন, “আপনাদের থেকেই প্রথম খবরটা জানলাম। খুব ভাল লাগছে। সকালেই ওর সঙ্গে আমার কথা হল। তখনও বলেছিল, অভিষেকের ব্যাপারে কিছুই জানে না।” ছেলের উদ্দেশে কোনও বার্তা দিতে চান? অবনীশ বললেন, “এ বারের আইপিএলে দল পাওয়ায় খুশি হয়েছিলাম। কেকেআর বরাবরই ওর প্রিয় দল। কারণ সেই দলে অভিষেক নায়ার রয়েছেন। ও ছোট থেকেই অভিষেকের কাছে ক্রিকেট শেখে। ভাল লাগছে দেখে যে এমন কারও অধীনে ও আইপিএলে খেলতে নামছে। তবে আসল লক্ষ্য ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে খেলা।” উল্লেখ্য, অভিষেকই টুপি পরিয়ে দেন রঘুবংশীর মাথায়।
২০২২-এর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভাল খেলেছিলেন রঘুবংশী। সেই প্রতিযোগিতায় ৬ ম্যাচে ২৭৮ রান করেছিলেন। সেই সময় তাঁর বাবা জানিয়েছিলেন, সচিন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা, এবি ডিভিলিয়ার্সকে আদর্শ মনে করেন তাঁর ছেলে। অবনীশ নিজে জাতীয় স্তরে টেনিস খেলতেন। এখনও ক্লাব টেনিস খেলেন। তাঁর স্ত্রী মল্লিকা রঘুবংশী ভারতের হয়ে বাস্কেটবল খেলেছেন। তাঁদের প্রথম সন্তান অঙ্গকৃশ স্বপ্ন দেখতেন ভারতের জার্সি গায়ে ক্রিকেট মাঠে নামার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেই স্বপ্ন কিছুটা পূরণ হয়ে যায়। অঙ্গকৃশের এক বছরের ছোট ভাই কৃষাঙ্গ টেনিস খেলে।
অঙ্গকৃশ ক্রিকেট খেলা শুরু করেন ৮-৯ বছর বয়সে। পাথওয়েজ ওয়ার্ল্ড স্কুলে পড়ার সময়েই ক্রিকেট শেখা শুরু তাঁর। বাটার চিকেন এবং কালো ডাল খেতে পছন্দ করা অঙ্গকৃশের চোখে ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলাই একমাত্র স্বপ্ন ছিল। তবে ক্রিকেট না খেললে গান শুনতে পছন্দ করেন তিনি। গিটারও বাজাতে পারেন। অবনীশ তখন বলেছিলেন, “ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট ছাড়া কিছু ভাবে না ও। ক্রিকেট মাঠেই বেশির ভাগ সময় কেটেছে ওর। খেলার প্রতি ওর ভালবাসা খুব। তবে ঘুরতে যেতে পছন্দ করে অঙ্গকৃশ। প্যারাগ্লাইডিং, স্কাইডাইভিংও পছন্দ করে ও।”