মারমুখী অভিষেক পোড়েল। ছবি: পিটিআই।
নামলেন ম্যাচের ১৮তম ওভারে। হাতে তখন মাত্র ১৭টি বল। নিজে খেললেন ১০টি। তাতেই দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে মাতিয়ে দিলেন অভিষেক পোড়েল। বাংলার ক্রিকেটারের হাত ধরে খাদের কিনারা থেকেও ঘুরে দাঁড়াল ঋষভ পন্থের দল। হর্ষল পটেলের শেষ ওভারে অভিষেক করলেন ২৫ রান। আইপিএলের একদা বেগনি টুপির মালিককে দু’টি ছয় এবং তিনটি চার মারলেন। দলের মেন্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আস্থার দামও দিলেন বাংলার ক্রিকেটার।
বাংলা দলের হয়ে খেলেন, এমন অনেক ক্রিকেটারই রয়েছেন আইপিএলে। কিন্তু বাঙালি ক্রিকেটার বলতে ঋদ্ধিমান সাহা এবং অভিষেক ছাড়া কেউ নেই। অভিষেক বরাবর আড়ালেই থাকেন। কিন্তু নিঃশব্দে নিজের কাজটা করে যান। বছর দেড়েক আগের কথা। ঋষভ পন্থ গাড়ি দুর্ঘটনার জেরে গত বারের আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর উইকেটকিপারের খোঁজে ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। তখনই সেই দলের মেন্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের চোখে পড়ে যান অভিষেক।
ঘরোয়া ক্রিকেটে তখন ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছিলেন অভিষেক। নজর কাড়ছিলেন সাদা বলের ক্রিকেটেও। সৌরভ নিজেই উদ্যোগী হয়ে অভিষেককে দিল্লির ট্রায়ালে ডেকে পাঠান। কলকাতায় দিল্লি দলের সেই ট্রায়ালে অভিষেকের বড় শট নেওয়ার দক্ষতা এবং ঠান্ডা মাথা সৌরভের মনে ধরে যায়। নিলামেই অভিষেককে নিয়ে নেয় দিল্লি। গত বছর আইপিএলে খেলে নজর কেড়েছিলেন। এ বার প্রথম ম্যাচেই মাতিয়ে দিলেন বাংলার কিপার।
শনিবার শুরুটা ভাল করলেও মাঝের দিকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকায় পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ধুঁকছিল দিল্লি। রিকি ভুইয়ের জায়গায় ১৮তম ওভারে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসাবে নামেন অভিষেক। সেই ওভারের শেষ বলে হর্ষলকে চার মারেন। পরের ওভারে মাত্র তিন রান হয়। এর পর হর্ষলের শেষ ওভার থেকে ২৫ রান নেন অভিষেক।
ইনিংস বিরতিতে তিনি বললেন, “তিন ওভার বাকি থাকার সময় আমি যে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামব সেটা আগেই জানতাম। সাপোর্ট স্টাফেরা আমাকে বলেছিল তৈরি থাকতে। আজ যে ভাবে খেলেছি তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। অনুশীলনে এটাই আমার কাজ। সব বলেই মারতে হবে এমন পরিকল্পনা করিনি। বরং বল যে দিকে রয়েছে সে দিক দিয়ে শট খেলার চেষ্টা করেছি। ওটাই কাজে লেগেছে।”