IPL 2020

তিন দিনের কোয়রান্টিন, দলগত ডিনার... বোর্ডের কাছে একাধিক দাবি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর

আমিরশাহিতে প্রায় ৮০ দিনেরও বেশি সুরক্ষা বলয়ে থাকবেন ক্রিকেটাররা। তাই প্রতিটি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে চাইছে দলগুলো।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২০ ১৫:২৮
Share:

আইপিএলে এ বারও কি দাপট দেখাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স? ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

ছয় নয়, তিন দিনের কোয়রান্টিন চাইল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নির্দেশিকায় জানিয়েছিল যে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌঁছনোর পর ক্রিকেটারদের ছয় দিনের জন্য কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। কিন্তু দলগুলো তার মেয়াদ অর্ধেক করার আবেদন করেছে বোর্ডের কাছে।

Advertisement

একইসঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আইপিএল চলাকালীন চেয়েছে দলগত ও পারিবারিক নৈশভোজের অনুমতি। তবে সেটা করা হবে অনেক আগে দেওয়া নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে। বাইরে থেকে হোটেলে খাবার আনার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।

বোর্ডের নির্দেশিকা অনুসারে আমিরশাহিতে পৌঁছনোর প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠ দিনে ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের পরীক্ষা করা হবে। তাতে পাশ করলেই অনুশীলন শুরু করা যাবে। এ ছাড়া ৫৩ দিনের প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক পঞ্চম দিন টেস্ট করা হবে। কিন্তু, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চাইছে ক্রিকেটাররা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন অনুশীলনে নেমে পড়েন। অধিকাংশ ক্রিকেটারই গত কয়েক মাসে ব্যাট-বলের সঙ্গে সম্পর্কহীন অবস্থায় রয়েছেন। তাই তাঁদের তিন দিনের কোয়রান্টিনের পর অনুশীলনে নামাতে চাওয়া হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘পাশে পাইনি’, ধোনির বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনলেন যুবরাজ

আরও পড়ুন: আইপিএলে ‘বোল্ড’ চিনের স্পনসর

এর আগে বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে ২০ অগস্টের আগে দলগুলো যেন আমিরশাহির উদ্দেশে রওনা না হয়। কিন্তু, চেন্নাই সুপার কিংস চেয়েছিল আগে আমিরশাহি পৌঁছে অনুশীলন শুরু করতে। তাই বোর্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে ১৫ অগস্ট নাগাদ রওনা হওয়া সম্ভব কি না। যাতে কোয়রান্টিন পর্ব মেটার পরও প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়।

বোর্ডের নির্দেশিকা অনুসারে ক্রিকেটারদের পরিবার ও দলের মালিকদের থাকতে হবে বায়ো-সিকিউর পরিবেশে। এটাতেও আপত্তি রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। বলা হচ্ছে যে টিমের মালিকদের পক্ষে প্রায় তিন মাস ওই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা মুশকিল। কিন্তু তা না থাকলে স্কোয়াডের সঙ্গে মেলামেশা করা সম্ভব নয়।

কোয়রান্টিন পর্ব চলাকালীন ক্রিকেটাররা সতীর্থদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন না। অন্তত তিনটি কোভিড-১৯ টেস্টের পর সেই অনুমতি মিলবে। দলগুলো থাকবে আলাদা আলাদা হোটেলে। যেহেতু লম্বা প্রতিযোগিতা, তাই সময় কাটানোর জন্য গল্ফ খেলা ও দলগত ও পারিবারিক ডিনারের অনুমতি চাইছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু রেস্তোরাঁ বা আগে থেকে নির্ধারিত কোনও যাওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব কি না। প্রায় ৮০ দিনেরও বেশি ওই সুরক্ষা বলয়ে থাকবেন ক্রিকেটাররা। স্বাদ বদলানোর জন্য বাইরে থেকে হোটেলে খাবার আনানো যায় কি না, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। তা ছাড়া দলের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও স্পনসরের অনুষ্ঠানে ক্রিকেটাররা থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়েও স্পষ্ট ধারণা চাওয়া হয়েছে।

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষ হচ্ছে ১০ সেপ্টেম্বর। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শেষ হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বর। এই দুই প্রতিযোগিতা থেকে ২৫ জনের মতো ক্রিকেটার যোগ দেবেন আইপিএলে। কোয়রান্টিন পর্বের মেয়াদ কমিয়ে এই ক্রিকেটারদের কী ভাবে তাড়াতাড়ি খেলানো যায়, সেই সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement