আইপিএল-এর আগে পরে ভারতীয় ক্রিকেট। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
একদিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ঋষভ পন্থ কী করতে পারেন, সেটা সবার জানা। কিন্তু গত অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন টেস্টেও কী করতে পারেন। ব্রিসবেনে শেষ টেস্টে ঋষভের ব্যাটে ভর করেই ম্যাচ ও সিরিজ জিতেছিল ভারত। বিশেষ়জ্ঞদের মতে, শুধু ঋষভই নন, টি নটরাজন, শার্দূল ঠাকুর, শুভমন গিলের মতো ক্রিকেটাররা এখন জাতীয় দলে ঢুকেই চাপ সামলে খেলে দিচ্ছেন। এটা কি আইপিএল-এর জন্য? পরিসংখ্যান ঘাঁটলে সেটাই বোঝা যাচ্ছে।
আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সালে। তার আগের ১২ বছর এবং পরের ১২ বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই স্পষ্ট হবে ভারতীয় ক্রিকেটে এই ক্রিকেট লিগের ভূমিকা কতখানি। তফাৎ চোখে পড়ার মতো। ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৪০০টি একদিনের ম্যাচ খেলে ভারত জিতেছিল ১৯৩টি ম্যাচ। সাফল্যের হার ৪৮ শতাংশ। আইপিএল পরবর্তী ১২ বছরে ৩৬০টি একদিনের ম্যাচ খেলে ভারত জিতেছে ১৯৩টি ম্যাচ। সাফল্যের হার বেড়ে হয়েছে ৬২ শতাংশ।
আইপিএলের আগের ১২ বছরের হিসেব দেখলে দেখা যাবে মাত্র ৬টি ক্যালেন্ডার বছরে একদিনের ক্রিকেটে ভারতের সাফল্যের হার ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। একদিনের ক্রিকেটে গত ২৫ বছরে ভারতের সবথেকে খারাপ বছর ছিল ১৯৯৭ সালে। সেবার সাফল্যের হার ছিল ২৬ শতাংশ। পরের ১২ বছরে একবারের জন্যও এই সাফল্যের হার ৫০ শতাংশের নীচে নামেনি। একদিনের ক্রিকেটে এর মধ্যে সেরা বছর ছিল ২০১৭ সাল। সেই বছর ভারতের সাফল্যের হার ছিল ৭২ শতাংশ। সেই বছরই একদিনের ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক হন বিরাট কোহলী।
শুধু একদিনের ম্যাচ নয়, টেস্টেও আইপিএল পরবর্তী যুগে ভারতের সাফল্যের হার বেড়েছে। আইপিএলের আগের যুগে টেস্টে ভারতের জয়ের হার ছিল প্রতি তিন ম্যাচে একটি। ২০০৮ সাল থেকে এটাই বদলে হয়েছে প্রতি ২ ম্যাচে ১টি জয়। আইপিএলের আগের ১২ বছরে ভারত ১১৭টি টেস্ট খেলে জিতেছিল ৩৮টি ম্যাচ। সাফল্যের হার ৩২ শতাংশ। আইপিএলের পরের ১২ বছরে ভারত ১২৮টি টেস্ট খেলে জিতেছে ৬৫টি ম্যাচ। সাফল্যের হার ৫১ শতাংশ। এর মধ্যে টেস্টে ভারতের সেরা বছর ২০১৯। সেবার ৮টি ম্যাচ খেলে ৭টি জিতেছে ভারত।