খারাপ খেললে সব দল যখন একাধিক পরিবর্তনের দিকে মন দেয়, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি তখন ভরসা রাখেন পুরনোদের ওপরেই। ফলে ‘বুড়োদের দল’ তকমা পেতে একেবারেই সময় লাগেনি চেন্নাইয়ের। খুব বেশি কাউকেই নিলামের আগে ছেড়ে দেয়নি চেন্নাই। তবে নিলামে বেশ কিছু বড় নাম যুক্ত হয়েছে চেন্নাই দলে। ফের আইপিএল জিততে কেমন হতে পারে ধোনিদের প্রথম একাদশ।
রুতুরাজ গায়কোয়ার: তরুণ এই ওপেনার ৬টি ম্যাচ খেলেছিলেন গত বছর। ২০৪ রান করেছিলেন ১২০.৭১ স্ট্রাইক রেটে। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পরের বছর দলের সম্পদ হতে পারেন তিনি। বলা যায় ২২ বছরের এই ওপেনারই ছিল গত আইপিএলে চেন্নাইয়ের এক মাত্র প্রাপ্তি।
ফ্যাফ দু’প্লেসি: টি২০ খেলবেন বলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাঁর মূল লক্ষ্য টি২০ বিশ্বকাপ। তার আগে আইপিএলের মতো মঞ্চে নিজেকে তৈরি করে নিতে চাইবেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান। বিধ্বংসী হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।
সুরেশ রায়না: ব্যক্তিগত কারণে গত বারের আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এ বারে ধোনির দলে তিনি থাকছেন। গত বার না খেলতে পারার জন্য রানের খিদে নিশ্চয়ই বিপুল রয়েছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। ৩ নম্বরে তাঁকেই চাইবেন ধোনি।
অম্বাতি রায়ুডু: ব্যাট হাতে তিনিই ছিলেন গত বারের আইপিএলে চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান শিকারি। ১২ ম্যাচে ৩৫৯ রান করেছিলেন তিনি। এ বারেও তাই তাঁকেই সুযোগ দেওয়া যেতে পারে ৪ নম্বরে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: অধিনায়ক ৫ নম্বরেই আসতে চাইবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ভক্তরা শুধু আইপিএলেই তাঁকে দেখতে পান। সেই অপেক্ষাতেই থাকবেন তাঁরা।
রবীন্দ্র জাডেজা: তাঁর মতো একজন ক্রিকেটার দলে থাকা মানেই বেশ কিছুটা এগিয়ে শুরু করা। ব্যাট, বল এবং ফিল্ডিং, সব বিভাগেই তিনি যেন সমান পারদর্শী। তাঁকে ছাড়া দল ভাবাই যাবে না।
স্যাম কারেন: ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার নজর কেড়েছিলেন গত বারের আইপিএলে। প্রথম বার খেলতে নেমেই চেন্নাই দলের অন্যতম সদস্য হয়ে উঠেছিলেন। এ বারেও তাঁকে ছাড়তে চাইবে না দল।
মইন আলি: নিলামে তাঁকে পেয়ে চেন্নাইয়ের স্পিন বিভাগ আরও মজবুত হল তা বলাই যায়। ইমরান তাহির আগের মতো ত্রাস সঞ্চার করতে পারছেন না। ব্যাট হাতে তেমন কার্যকরীও নন ইমরান। মইন দলে এলে ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা দিতে পারবেন।
শার্দূল ঠাকুর: আইপিএলে ধোনির দলের অন্যতম সম্পদ এই পেসার। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট অভিষেক আরও পরিণত করবে তাঁকে। নতুন বল শার্দূলের হাতেই তুলে দিতে চাইবেন ধোনি।
দীপক চহার: শার্দূলের সঙ্গী হবেন তিনিই। দুবাইয়ে চেন্নাই দলের ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছিলেন দীপক।
লুঙ্গি এনগিডি: দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন যে কোনও পরিবেশে। তাঁর মতো একজন পেসার থাকলে বিপক্ষের ওপর শুরুতেই আক্রমণ করতে পারবে চেন্নাই।