ফাইল চিত্র।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে শুক্রবার জিতলেই আইপিএলের পয়েন্ট টেবলে শীর্ষ স্থান দখল করত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি)। কিন্তু কে এল রাহুলদের বিরুদ্ধে ৩৪ রানে হেরে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন বিরাট কোহালিরা। ম্যাচের পরে হতাশা গোপন করতে পারেননি আরসিবি অধিনায়ক।
প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ১৭৯ তুলেছিল পঞ্জাব। ৫৭ বলে ৯১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রাহুল। ২৪ বলে ৪৬ রান করেন ক্রিস গেল। কুড়ি ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তোলে আরসিবি। নেপথ্যে হরপ্রীত ব্রার- রবি বিষ্ণোই যুগলবন্দি। প্রথম জন চার ওভারে ১৯ রানে নেন তিন উইকেট। দ্বিতীয় জন ১৭ রানে নেন দুই উইকেট। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে বিরাটও আউট হন হরপ্রীতের বলে। ম্যাচের পরে আরসিবি অধিনায়ক বলেছেন, “ওরা ইনিংসের শুরুটা ভাল করলেও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু শেষের দিকে ২৫ রান বেশি দেওয়াই পার্থক্য গড়ে দিল।” বিরাট যোগ করেছেন, “ওদের ১৬০ রানের মধ্যে আটকে রাখা উচিত ছিল। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগোচ্ছিলাম। কিন্তু ইনিংসের শেষের ওভারগুলোয় সব ভেস্তে যায়।”
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে আরসিবি-র সর্বোচ্চ রান বিরাটের (৩৫)। রজত পতিদার ও হর্ষল পটেল, দু’জনেই ৩১ রান করেন। চূড়ান্ত ব্যর্থ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (০) ও এবি ডিভিলিয়ার্স (৩)। এই দুই তারকার উইকেটও নিয়েছেন হরপ্রীত। নিজের ব্যাটিং নিয়েও ক্ষোভ গোপন করেননি বিরাট। তিনি বলেছেন, “ব্যাটসম্যান হিসেবে শুরুর দিকে আমাদের অন্যরকম কিছু চেষ্টা করা উচিত ছিল। জুটি বেঁধে স্ট্রাইক রেট ১১০-এর উপরে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। যা আমরা পারিনি। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।” ২০১৯ সালের পরে কোনও ফর্ম্যাটেই (টেস্ট, ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টি) শতরান পাননি বিরাট। তা নিয়ে ভারত অধিনায়কের ভক্তেরা হতাশ হয়ে পড়েলেও উদ্বিগ্ন নন মহম্মদ ইউসুফ। পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান বলেছেন, “কোহালির বয়স এখন মাত্র ৩। এই বয়সটা হলো যে কোনও উচ্চমানের ব্যাটসম্যানের সেরা সময়। আমি নিশ্চিত, বিরাট শীঘ্রই ফের শতরান করবে।”