গাওস্করের মতে, পঞ্চম বলে অশ্বিন কী করবেন ধরে ফেলেছিলেন ত্রিপাঠি।
সহজে যেখানে জয় আসত, সেখানে কঠিন করে জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ দিকে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরেও হারতে হল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। কী ভাবে জিতল কলকাতা? কেন হারতে হল দিল্লি ক্যাপিটালসকে? বিশ্লেষণ করলেন সুনীল গাওস্কর।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন দিল্লিকে ম্যাচে ফেরালেও শেষ ওভারে তাঁর ভুলেই হারতে হয়েছে বলে মনে করছেন গাওস্কর। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘‘অশ্বিন অত্যন্ত বুদ্ধিমান বোলার। কোন ব্যাটসম্যানকে ঠিক কী বল করতে হবে, সেটা ও খুব ভাল করে জানে। আর সেটাই করছিল। ব্যাটসম্যান কী ভাবছে, সেটা ধরে ফেলছিল। ও জানত সুনীল নারাইন নামবে এবং সব বলেই মারার চেষ্টা করবে। তাই ওকে অফ স্টাম্পের একটু বাইরে বল করল। লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হল নারাইন।’’
তা হলে কোথায় ভুল করলেন অশ্বিন? গাওস্করের ব্যাখ্যা, ‘‘শেষ বলটায় একটু ভুল করে ফেলল অশ্বিন। ও ভেবেছিল রাহুল ত্রিপাঠি উইকেট ছেড়ে এগিয়ে এসে মারবে। সেই কারণে একটু ফ্ল্যাট বল করেছিল, যাতে ত্রিপাঠি বলের নাগাল না পায়। কিন্তু ত্রিপাঠি সেটা করেনি। উল্টে বুঝতে পেরেছিল, অশ্বিন কী করতে চলেছে। তাই ওরকম একটা দুরন্ত ছয় মারতে ওর অসুবিধে হয়নি।’’
একটা সময়ে কলকাতার ২৫ বলে ১৩ রান দরকার ছিল। তাদের হাতে ছিল ৯ উইকেট। কিন্তু পরের তিন ওভারে খেলা ঘুরে যায়। ১৭তম ওভারে আবেশ খান ২ রান দিয়ে শুভমন গিলের উইকেট তুলে নেন। পরের ওভারে কাগিসো রাবাডা মাত্র ১ রান দেন। ফেরান দীনেশ কার্তিককে। ১৯তম ওভারে আনরিখ নোখিয়া ফেরান অইন মর্গ্যানকে। সেই ওভারে ৩ রান হয়।
শেষ ওভারে কলকাতার দরকার ছিল ৭ রান। প্রথম বলে ত্রিপাঠি ১ রান নেন। পরের বলে শাকিব আল হাসান কোনও রান নিতে পারেননি। তৃতীয় বলে শাকিব আউট হয়ে যান। চতুর্থ বলে নারাইন আউট হন। শেষ দুই বলে ছয় রান দরকার ছিল কেকেআর-এর। পঞ্চম বলে ছয় মেরে জেতান ত্রিপাঠি।
ম্যাচ এই জায়গায় যাওয়ার জন্য কলকাতার ব্যাটারদেরই দোষ দিচ্ছেন গাওস্কর। বলেন, ‘‘ওরা ম্যাচটা যে জায়গায় নিয়ে গেল, তার জন্য নিজেরাই দায়ী। অন্তত ১০ বল বাকি থাকতে ওদের জেতা উচিত ছিল।’’