ফাইল চিত্র।
প্রতিযোগিতা যত এগোচ্ছে, সেই পুরনো ভুলগুলো আবার দেখা যাচ্ছে। পঞ্জাব ফের রান তাড়া করতে গিয়ে এমন একটা ম্যাচ হেরে বসল, যেটা তাদের জেতা উচিত ছিল। আমিরশাহিতে গত বারের আইপিএলে করা ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া নিয়ে এত কথা হচ্ছে। কিন্তু সেই একই ভুল করে বসল পঞ্জাব। ফলে ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন ওভার আগেও যা অপ্রত্যাশিত ছিল সেটাই হল, জিতল রাজস্থান।
এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে ভাল পার্টনারশিপ হওয়ার পরে সঙ্গী আউট হয়ে গেলে আর এক জন ব্যাটারের খুব বেশি ঝুঁকি না নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উল্টো দিকে নতুন ব্যাটারেরও তখন থিতু হতে সময় লাগে। পঞ্জাব গত বছর ম্যাচগুলোয় শুরুটা দারুণ করেছিল। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও যেটা দেখা গিয়েছে। কিন্তু ওদের যখন ওপেনিং জুটি ভেঙে গেল, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আর এক ব্যাটারও আউট হয়ে যায়। যার অর্থ ক্রিজে দু’জন নতুন ব্যাটার আসবে। তাদের পক্ষে আগের দুই জমে যাওয়া ব্যাটারের মতো দ্রুত রান তোলা সহজ নয়। এর পাশাপাশি পঞ্জাব অনিয়মিত বোলারদের দিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা ১৫-২০ রান দিয়ে বসছে। এতে ম্যাচের ছন্দ নষ্ট হচ্ছে। রাজস্থানও একই কাজ করেছিল রিয়ান পরাগকে বোলিংয়ে এনে। যার ফলে ওরা ম্যাচটাই প্রায় হারতে বসেছিল। কিন্তু কার্তিক ত্যাগী এবং অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন মাথা ঠান্ডা রাখায় রুদ্ধশ্বাস একটা জয়
পেল রাজস্থান।
এ বার রাজস্থান মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে থাকা দিল্লির। যারা এ বারে আইপিএলের প্রথম অংশের মতো দ্বিতীয় অংশেও দুরন্ত ভাবে শুরু করেছে হায়দরাবাদকে হারিয়ে। দিল্লির বিরুদ্ধে ব্যাটিং বা বোলিংয়ে ভুল করার জায়গা নেই। তাই সঞ্জুকে ঠিক পঞ্জাব ম্যাচের মতোই ঠান্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিতে হবে দিল্লির বিরুদ্ধেও।
পঞ্জাব কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে হায়দরাবাদ পয়েন্ট টেবলের একেবারে শেষে থাকায়। যদি পঞ্জাব ঠিকঠাক দল নির্বাচন করতে পারে, এখনও ছবিটা পাল্টে যেতে পারে। হায়দরাবাদের সে সুযোগ নেই। এখন শুধু অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতেই পারে ওরা। তাই ফলের কথা মাথায় না রেখে হায়দরাবাদের ক্রিকেটারদের উচিত লড়াই আরও উপভোগ করা। তবে ওদেরও প্রথম একাদশের নির্বাচন ঠিকঠাক করাটা জরুরি। যদি ওরা দিল্লি বা চেন্নাইয়ের দিকে তাকায়, দল নির্বাচন নিয়ে আরও শিখতে পারবে। (টিসিএম)