প্যাট কামিন্স
সাড়ে পনেরো কোটি টাকায় তাঁকে কলকাতা নাইট রাইডার্স নিয়েছিল ইডেনের গতিময় পিচের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু করোনা অতিমারির জন্য ভারত থেকে আইপিএল সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। যেখানে পেসারদের জন্য উইকেটে খুব একটা সাহায্য থাকে না। বলও বেশি সুইং করে না। বেশি অর্থ ব্যয় করে তাঁকে নেওয়া হলেও নাইট সমর্থকদের মন জয় করতে পারেননি প্যাট কামিন্স।
বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট বোলারকে নিয়ে সমালোচনাও হয়। অনেকেই বলতে শুরু করেন, এত অর্থ ব্যয় করার যোগ্য মর্যাদা দিতে পারছেন না কামিন্স। তাঁদের উদ্দেশে অস্ট্রেলীয় পেসারের জবাব, “অর্থ বেশি পেলেই কি বল অতিরিক্ত সুইং করবে? নাকি মাঠ বেশি বড় হয়ে যাবে। ক্রিকেট তো খেলা হয় আগের মতোই পরিবেশে।”
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুষ্ঠান, ‘আই অ্যাম আ নাইট’-এর সাক্ষাৎকারে তাঁর ক্রিকেট জীবনের উত্থান-পতন তুলে ধরলেন কামিন্স। তিনি জানিয়েছেন, ১৬ বছর বয়সের আগে পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন না। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুশীলন করার পর থেকেই ক্রিকেটার হিসেবে জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখেন কামিন্স। নাইটদের সরকারি ওয়েবসাইটে কামিন্স বলেছেন, “আমি ছোটবেলা থেকে অনেক রকম খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তার মধ্যেই অন্যতম ছিল ক্রিকেট। ১৫ বছর বয়সেও পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম না। কিন্তু সিনিয়রদের সঙ্গে খেলার পরে বুঝি, আমি খারাপ খেলি না। ১৬-১৭ বছর বয়সে এসসিজি-তে অনুশীলন করার সুযোগ পাই। তখনই ভেবে নিই, ক্রিকেটার হিসেবেই নিজেকে গড়ে তুলব। তার পর থেকে ট্রেনিংয়ে মন বসতে শুরু করে। জিমে যাওয়া শুরু হয়।”