ফাইল চিত্র।
একটা ক্যাচ ফেলা। একটা নো বল। একটা খারাপ ওভার। অথবা ভাল। এই সবই গড়ে দিতে পারে সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচের ভাগ্য। দু’দলের অধিনায়কেরই ভাল এবং খারাপ— দু’ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। যুযুধান এই প্লে-অফে তাদের একটা ব্যাপারই মাথায় রাখতে হবে। প্রত্যেকটা বলের গুণ বিচার করে খেলা। কখনওই হাঁকপাক করা উচিত নয়। যদিও চাপের ম্যাচে সেটা সবসময়
সম্ভব হয় না।
প্লে-অফে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামা উচিত ব্যাঙ্গালোরের। দিল্লির বিরুদ্ধে কে এস ভরতের শেষ বলে মারা ছক্কার সৌজন্যে দারুণ জয় পাওয়ার পরেই ওরা সোমবার খেলবে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও আবার জ্বলে উঠতে দেখা গেল ঋষভ পন্থদের সঙ্গে টক্করে। যেখানে ভরতও খোলস থেকে বেরিয়ে নিখুঁত কিছু শট খেলে দিল। ও কিন্তু তিন নম্বরে নেমেছিল এবং টানা অনেকটা সময় উইকেটে থেকেছে। সবচেয়ে নজর কেড়েছে শেষ ওভারে। মেজাজ হারায়নি। মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ বার করেছে।
কলকাতার বেঙ্কটেশ আয়ারকেও এ বারের আবিষ্কার বলব। কতদূর যেতে পারে হয়তো বলার সময় এখনও হয়নি। কিন্তু তার পাশাপাশি এটাও বলব মুগ্ধ করেছে ওর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা। একই সঙ্গে বোলিংটাও করে ভাল। যে কোনও অধিনায়ক এমন ব্যাটারই চাইবে যে দরকারে বোলিং করতে পারে। সেটা কার্যকরী হলে তো কথাই নেই।
আন্দ্রে রাসেলকে নাইটরা পাবে কি না জানি না। তবে সুস্থ হয়ে নামতে পারলে কলকাতার মাঝের দিকের ব্যাটিংকে একাই দাঁড় করিয়ে দিতে পারে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ব্যাট-বল দু’টোই ওর অস্ত্র। যে কোনও সময় চাকা ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে রাসেল। এমন এক জনকে নিশ্চয়ই দলে চাইবেই কলকাতা। তার পাশাপাশি লকি ফার্গুসনের কথাও বলা দরকার। কলকাতার বোলিং ওর গতির জন্যই এতটা প্রাণবন্ত। যদি লকি ছন্দে থাকে, সঙ্গে দুই রহস্য স্পিনার সুনীল নারাইন আর সিভি বরুণ ভাল বোলিং করে, তা হলে বিপক্ষ বিপদে পড়তে বাধ্য।
ম্যাচের ভাগ্য গড়তে শারজার ছোট বাউন্ডারি অবশ্যই বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। এই রকম একটা পরিস্থিতিতে কিন্তু অধিনায়কদের মাথা খাটিয়ে বুঝতে হবে, শেষ ওভারগুলো কাদের দিয়ে বোলিং করানো যায়। এ বারের আইপিএলে অনেক ম্যাচই বলা হয়েছে মরণ-বাঁচন লড়াই। কিন্তু এই পর্যায়ে এসেই একমাত্র সে রকম কিছু বলাটা যৌক্তিক। কে না জানে, এখন হারা মানে পরাজিতদের পরের বারের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কিছু করার থাকবে না। (টিসিএম)