শিবিরে করোনা থাবা বসালেও সুস্থ আছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ফাইল চিত্র
গত বছরের মতো এই বছর আইপিএল শুরু হওয়ার আগে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসে ফের একবার করোনা থাবা বসাল। শোনা যাচ্ছে দলের এক কর্তা এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও সেই কর্তার নাম গোপন রেখেছে সিএসকে শিবির। শনিবার এই কর্তার কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার পর তাঁকে নিভৃতবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে চেন্নাই।
গত বছর আইপিএল শুরু হওয়ার আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন দলের দুই ক্রিকেটার দীপক চাহার ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। শুধু তাই নয়, এই দুই ক্রিকেটার ছাড়াও একাধিক সহকারী প্রশিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেছেন, “সিএসকে শিবিরের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার হাতে এসেছে। আপাতত ১৪ দিন তাঁকে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। ফলে দলের সকল ক্রিকেটার সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে।”
আগামী ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ক্রোড়পতি লিগ। এরই মধ্যে গোটা দেশজুড়ে কোভিডের হার বেড়েই চলেছে। আর সেই ভাইরাসের আঁচ আইপিএলেও লেগেছে। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের নীতীশ রানা ও দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর পটেল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। নীতীশ রানা ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে অনুশীলনে যোগ দিলেও অক্ষর এখনও সুস্থ হয়নি। ফলে তিনি নিয়ম মাফিক নিভৃতবাসে রয়েছেন।
এদিকে ইতিমধ্যেই ওয়াংখেড়ের ১০ জন মাঠকর্মী এবং ৬ জন আয়োজক আক্রান্ত। দেশের দৈনিক সংক্রমণের অর্ধেকেরও বেশি মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯১৩ জন। লকডাউনও হতে পারে মহারাষ্ট্রে। এমন অবস্থায় ইনদওর, হায়দরাবাদের মতো শহরের মাঠকে তৈরি রাখার ভাবনা করছে বিসিসিআই। মুম্বইয়ে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, পঞ্জাব কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালসের জন্য। দলগুলোকে এখনও পর্যন্ত হায়দরাবাদে যাওয়া নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি বলেই জানিয়েছে তারা।