বিরাট কোহলীরা কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে গো-হারা হেরেছেন। তবু কোহলীর দলের জোরে বোলার কাইল জেমিসন সোমবার থেকে চর্চার বিষয়।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের এই জোরে বোলারের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে তিনি একা নন। রয়েছেন নবনীতা গৌতম। দলের ভরাডুবির মধ্যেও তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসছেন জেমিসন।
২৯ বছরের নবনীতা এখন বিরাট কোহলীর দলের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট। ২০১৯ সালের অক্টোবরে আরসিবি-তে যোগ দিয়েছেন। তিনিই এখন আইপিএল-এ একমাত্র মহিলা থেরাপিস্ট।
নবনীতার আগে আইপিএল-এ মহিলা থেরাপিস্ট শুধু ছিল ডেকান চার্জার্সে। তারা নিয়েছিল দুই বিদেশি অ্যাশলে জয়েস এবং প্যাট্রিসিয়া জেনকিন্সকে।
১৯৯২ সালের ১১ এপ্রিল কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভারে জন্ম নবনীতার। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা স্যর চার্লস টুপার সেকেন্ডারি স্কুলে।
এরপর নবনীতা সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষানবিশ থেরাপিস্ট হিসেবে যুক্ত হন। সেখানে ছিলেন ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত।
কানাডারই ক্যামসন কলেজে পড়াশোনা করেন ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। তখন থেকেই ফিজিয়োথেরাপি শেখায় বেশি করে মন দেন। ক্যামসন কলেজে স্নাতক স্তরে তাঁর বিষয় ছিল ‘অ্যাথলেটিক অ্যান্ড এক্সারসাইজ থেরাপি’। এই বিষয়ে তাঁর পড়াশোনা এবং দক্ষতা আছে দেখেই তাঁকে দলে নেয় আরসিবি।
পড়াশোনার ফাঁকেই কাজ শুরু করে দেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কানাডার স্ট্রাচকোনা কমিউনিটি সেন্টারে মেয়েদের বাস্কেটবল দলের কোচ ছিলেন তিনি। এই আট বছরে নবনীতা শেখেন সময়ের সঙ্গে কী করে পাল্লা দিতে হয়। সাংগঠনিক এবং নেতৃত্বের দক্ষতাও তৈরি হয়। খেলোয়াড় এবং তাঁদের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলার দক্ষতাও তৈরি হয়।
গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা লিগে টরন্টো ন্যাশনালসের হয়েও কাজ করেছেন। ভারতের মহিলা বাস্কেটবল দলের সঙ্গে এশিয়া কাপেও ছিলেন। কাজ করেছেন ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ডগলাস কলেজ, আমহার্স্ট প্রাইভেট হসপিটালে।
২০১৫ সালে কানাডায় মহিলাদের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়ও তাঁকে নিয়েছিল সে বারের আয়োজক কমিটি। তখন তাঁর কাজ ছিল প্রয়োজনে ফার্স্ট এডের ব্যবস্থা করা।
গত বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে কোহলী যখন চার মেরে আরসিবি-কে জিতিয়েছিলেন, তখন ডাগ আউটে লাফাতে দেখা গিয়েছিল নবনীতাকে।
এ বারও কোহলীরা আশা করছেন, নবনীতার মতো বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট তাঁদের সঙ্গে থাকায় তাঁরা বাড়তি উপকৃত হবেন।